অনলাইন ডেস্কঃ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্র্জন, মাদক ব্যবসায়, চাঁদাবাজিসহ নিয়োগ বাণিজ্যের মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমন সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা কার্যালয়। আলোচিত ৮ পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একাধিক টিম অনুসন্ধান করছেন। এদিকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ এবং ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যেই দু’জন পুলিশের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, নগরীর বয়রা পুলিশ লাইনের প্রাক্তন রিজার্ভ অফিসার আইনুল হক সরদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরালা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানার বিরুদ্ধে জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। খুলনা জোনের সিআইডি’র এসআই মধুসূদন বর্মনের বিরুদ্ধে রয়েছে জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদের। মেট্রোপলিটন পুলিশের হরিণটানা থানার সাবেক ওসি সরদার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। কেএমপির এক অতিরিক্ত উপ কমিশনারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে। নিয়োগ বাণিজ্য, ৭টি বাড়িসহ ৪০ কোটি টাকার জ্ঞাত বহির্ভূত আয়ের অভিযোগ রয়েছে ডিআইজি অফিসের স্টেনোগ্রাফার আব্দুর রউফ মল্লিকের বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে মেহেরপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে। যশোর জেলার কোতোয়ালী থানার এসআই সিহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদের মালিক হওয়া এবং সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) তৈমুর ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। এ সকল অভিযোগগুলো বেশির ভাগই গত বছরের। দুদকের একাধিক টিম এ সকল অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করছে। যার ফলে চূড়ান্তভাবে কোন প্রতিবেদন করা হয়নি। তবে ঠিকাদারের কাজ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় খুলনার আরআরএফের সাবেক কমান্ডেন্ট (এসপি) ড. মোঃ নাজমুল করিম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশপাশি জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাতের ঘটনায় সিরাজগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত এসআই মোঃ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধেও দুদক মামলা করেছেন।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান সময়ের খবরকে বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এলাকার একাধিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগই বেশি। এই অভিযোগগুলো দুদকের একাধিক টিম অনুসন্ধান করছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সত্যতা মিললে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।