রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের উৎসে কর আগামী পাঁচ বছরের জন্য ০.৫০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে সংগৃত সব সেবা ও পণ্যের ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফ রাখা এবং ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করা থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় দাবিগুলো উপস্থাপন করেন বিজিএসমইএর সভাপতি রুবানা হক।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও রফতানি জাতীয় পণ্যের ওপর উৎসে কর নেই। তারপরও বাংলাদেশে বহাল আছে। তৈরি পোশাক খাতের স্বার্থে রফতানিমুখী এ খাতের উৎসে কর আগামী পাঁচ বছরের জন্য ০.৫০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.২৫ শতাংশ করা এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য তা কার্যকর রাখার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তন ১০ শতাংশ মওকুফ করারও দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে অস্তিত্বহীন কারখানার বন্ড লাইসেন্স বাতিলের দাবি উপস্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি ও রফতানির বৃহত্তর স্বার্থে আগামী পাঁচ বছর করপোরেট ট্যাক্সের হার ১২ শতাংশ ও গ্রিন কারখানার ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।
সভায় রাজধানীর ইসলামপুর এলাকার অবৈধ কাপড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার মালিকরা। প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বাজেট প্রস্তাব শেষে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় এ প্রস্তাব করেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোটার্সের (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
সভায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এনবিআরের পক্ষে সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, মো. মাসুদ সাদিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।