গত ২৩ আগষ্ট ২০২০ইং তারিখ রবিবার দৈনিক খুলনা টাইমস, দৈনিক নওয়াপাড়া, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন, দৈনিক আজকের তথ্য পত্রিকায় প্রথম পাতায় ‘খুলনায় সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকের একাউন্ট ব্যবহার: ম্যানেজারের কোটি টাকা লেনদেন চিত্র ফাঁস’ শীর্ষক শিরোনামে এবং ২৪ আগষ্ট ২০২০ইং তারিখ সোমবার দৈনিক খুলনা টাইমস, দৈনিক নওয়াপাড়া, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন, দৈনিক আজকের তথ্য, দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় প্রথম পাতায় ‘খুলনার সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ম্যানেজারের নানা কান্ড: গোপনে ঠিকাদারী ব্যবসায় শত কোটি টাকার মালিক!’
প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক খুলনার ডুমুরিয়া শাখার এসএভিপি ও ম্যানেজার মোঃ মোতালেব হোসেন।
প্রতিবাদে তিনি জানান, উক্ত প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানী মূঔশ মাত্র। একটি কুচক্ররী মহল সমাজে তার মানসম্মান ক্ষুন্য করার জন্য কাল্পনিক, বানোয়াট, মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একজন ব্যাংকার এর জন্য এটা অত্যন্ত সম্মানহানিকর। তিনি আরো জানান, কোন ঠিকাদার গ্রাহকদের সাথে আমার ব্যাংকিং সম্পর্ক ছাড়া কোন ব্যবসায়ীক সম্পর্ক নাই। এছাড়া ব্যাংকে গ্রাহকদের একাউন্টে টাকা লেন দেনের যে বিষয়টি এসেছে সেটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারন একজনের একাউন্টে অন্যজন কোটি কোটি টাকা লেন দেনের কোন সুযোগ নাই। কারন প্রতিটি লেন দেনে গ্রাহকের মোবাইলে এস এম এস যায়। এবং এই গ্রাহক কখনো সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট এর ব্যাপারে কোন অভিযোগ করেন নাই। সকল গ্রাহকদের সাথে আমার বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক আছে তবে কারো সাথে কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক নাই। এছাড়া মেসার্স শাওন ট্রেডার্স’র মালিক জলিল শিকদার এস্টেটমেন্ট তুলতে গেলে দেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং অসংখ্যবার তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট ব্যাংক থেকে নিয়েছেন এবং অস্ত্রের লাইসেন্স সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগিয়েছেন।
মেসার্স শাওন ট্রেডার্স’র মালিকের একাউন্টে তার অনুমতি ছাড়া কোন লেন দেন হয়েছে এমন অভিযোগ তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার আগে ব্যাংকে এসে আমি বা আমার কোন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেন নি।
তার মত সু-চতুর লোকের একাউন্ট ব্যবহার করে ম্যানেজার হিসেবে ব্যাক্তিগত লেনদেন করা একেবারেই অসম্ভব।
দীর্ঘ ২৪ বছর আমি সুনামের সঙ্গে ব্যাংকিং সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজের একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রতিবেদকের কাছে ভুয়া তথ্য প্রদান করেছে।
প্রতিবাদে মোঃ মোতালেব হোসেন বলেন, বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ঋন দেওয়ার পর টাকা ধার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং সেটি নিয়ে পরবর্তীতে দেন দরবারের মত কোন ঘটনা হয়নি। যা সংবাদে উল্লেখিত গ্রাহকের সাথে কথা বললেই সত্যতা পাওয়া যাবে। উল্লেখ যে বিগত তিন বছরে আমার এই শাখা থেকে কোন বড় ধরনের ঋন অনুমোদিত হয় নাই।
এছাড়া তিনি আরো জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন লেখাপড়া ও টিউশনি ব্যতীত কোন সক্রিয় রাজনীতির সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। ডাইনিং এর ম্যানেজারি করাকালীন বিএনপি-ছাত্রদলের হাতে হামলার শিকার হওয়ার কারণে বিএনপি এবং এর মৃতদের কে আমি ঘৃণার চোখে দেখি। ক্যাডার তো দূরের কথা ছাত্র জীবনে কারো সাথে মৌখিক তর্কে লিপ্ত হওয়ার কোন রেকর্ড নাই। আমার জ্ঞাত আয়ের বাহিরে কোন অবৈধ সম্পত্তি নাই। সকল সম্পত্তির হিসাব আমার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ আছে। যা আমার চাকরিরত আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। উল্লেখিত সংবাদে শতকোটি টাকার সম্পদের কথা বলেছে যাহা কাল্পনিক বা সত্যেও লেশমাত্র নাই। মাধ্যমিক পড়াকালিন কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। স্কুলে রাজনীতি করার কোনো সুযোগও ছিল না। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমার কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা আমাদের এইচ ও কে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়। অনলাইন সিসিটিভি এর আওতাভুক্ত হওয়ার কারণে ডিউটি ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নাই। তিনি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান ।
মোঃ মোতালেব হোসেন, এসএভিপি ও ম্যানেজার, ডুমুরিয়া শাখা, খুলনা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।