অনলাইন ডেস্কঃলাইন সংস্কার কাজে নিয়জিত প্রকৌশলীর গাফলতির কারণে রাজশাহীতে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা কবলে পড়ে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, দুপুর ১২টার মধ্যে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ চারটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলো বিকেল ৪টার মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভাব হবে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক তথ্যের বরাদ দিয়ে খন্দকার শহীদুল ইসলাম জানান, লাইন সংস্কার চলছিল। পুরাতন স্পীপার পরিবর্তন ও পাথর দিচ্ছিল। কিন্তু যারা সংস্কার কাজ করছেন তারা স্লীপারের সঙ্গে লাইন আটকানো কয়েকটি পিন (ডগস্পাইক) খুলে রেখেছিল। পাথর ফেলের কারণে সেটি ঢেকে যায়। এ কারণে সেটি কারও চোখে না পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, তেলবাহী ৩১টি বগি নিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল। প্রতিটি বগিতে রয়েছে ৫০ হাজার লিটার তেল। প্রতি বগির ওজন ৫০ টন। পিন খোলা থাকায় অতিরিক্ত চাপে লাইন সরে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার দিগলকান্দি এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ওই জেলার সঙ্গে সকল রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালের রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে ছয়টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে টিকিট ফেরত নেয়া হয়। এছাড়াও রাজশাহীগামী কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে রয়েছে।
তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় সংস্কার কাজে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সাথে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিভাগীয় ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। বৃহস্পতিবার সকালে তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করে বলে জানা গেছে।