দেশের ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত মসলিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনে এবং দেশের রপ্তানি খাতকে সমৃদ্ধ করতে ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।
সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার প্রকল্পের ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২১’ প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সভায় এ কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবতে জুট ফাইবার গ্লাস ইন্ড্রাস্ট্রিজের জমিতে ঢাকাই মসলিন হাউজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এর মধ্য দিয়ে মসলিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করা যায়, শিগগিরই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় মসলিন কাপড় যুক্ত হবে। ঢাকাই মসলিন রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’
ঢাকাই মসলিন বাংলাদেশের অন্যতম ব্র্যান্ড হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সোনালী ঐতিহ্যের ঢাকাই মসলিন, আবারও মাতাবে বিশ্ব।’
১৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মসলিনের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে আসে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।