দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে ২৭ জানুয়ারি থেকে। এদিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের শুরু হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে টিকাদান কর্মসুচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাজধানীর কিডনি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান।
এর আগে বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় করোনার টিকা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রথম দিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে ফ্রন্টলাইনারসহ ২৫ জনকে টিকা দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ফ্রন্টলাইনে যারা কাজ করছেন তারা ছাড়াও শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিভিল প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিনিধি থাকবেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ক্রয় করা ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় আসবে। প্রথম মাসে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তৃতীয় মাসে এরাই আবার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। কুর্মিটোলা, কুয়েত মৈত্রী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরের দিন আরো ৫০০ জনকে দেওয়া হবে। পরে তাদের কয়েক দিন পর্যবেক্ষণ করে ফুল ফেসে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বলেও জানান সচিব।
হাসপাতালের বাইরে কেন্দ্র হবে না জানিয়ে মো. আবদুল মান্নান বলেন, হাসপাতালের বাইরে কোনো কেন্দ্র হবে না, কারণ সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া সবাই টেলিমেডিসিনের আওতায় থাকবে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে। প্রতি টিমে দুজন ভ্যাকসিনেটর ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন, যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাদের টেলিমেডিসিন সুবিধা দেওয়া হবে। রাখা হবে ফলোআপে।
এদিকে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেছিলেন, বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি ও টিকাদানের ব্যবস্থা রাখা হবে। সেক্ষেত্রে টিকার দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে। এর নীতিমালাও তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।