আন্তর্জাতিক ডেস্কঃইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালেই বের হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তখন থেকে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চলছে। এছাড়া চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিও। এর মাধ্যমে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি সম্পূর্ণ অকার্যকর হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর চলমান অস্থিতিশীলতায় পরমাণু চুক্তি থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এতে তেহরানের পরমাণু কার্যক্রম বেশ গতিশীল হয়েছে এবং তারা পারমাণবিক বোমার দিকেই এগোচ্ছে বলে মত দিয়েছেন বৈশ্বিক পরমাণু বিশ্লেষকরা।
ইরান ও ইসরায়েলের গোয়েন্দারা বলছেন, পারমাণবিক বোমা থেকে আর মাত্র ১ বছর দূরে আছে ইরান। অর্থাৎ, ১ বছর পরই পারমাণবিক বোমার মালিক হবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। অন্যদিকে কোনো কোনো গোয়েন্দা দাবি করেছেন, ইরান আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই পারমাণবিক বোমার মালিক হবে।
ইরানের পরমাণু বোমা সম্পর্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আগে ১২টিরও বেশি পারমাণবিক বোমা বানানোর সক্ষমতা অর্জন করে ইরান। কিন্তু পরমাণু চুক্তির পর তারা ওই কার্যক্রম স্থগিত করে।
যে চুক্তির কারণে ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম স্থগিত করেছিল সেই চুক্তিটি সম্পূর্ণ অকার্যকর হওয়ার পথেই রয়েছে। ফলে আবারও নিজেদের পারমাণবিক কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে ইরান। এ অবস্থায় সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আগের মতোই অন্তত ১২টি পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সক্ষম হবে তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ১০৫০ কেজি স্বল্প-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের দরকার হয়। বর্তমানে ইরানের হাতে এই পরিমাণের অর্ধেকের চেয়েও কিছু কম ইউরেনিয়াম রয়েছে। তবে সামনের দিনগুলোতে পরমাণু কার্যক্রম অনেক বেশি গতিশীল করবে তারা। এ কারণে আগামী এক বছরের মধ্যে আবারও অন্তত ১২টি পারমাণবিক বোমা বানানোর সক্ষমতা তৈরি হবে ইরানের। অর্থাৎ, প্রথম ধাপে এ ধরনের ১২টি বোমা পেতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।