অ্যা শেফার্ডস জার্নি: দ্যা স্টরি অফ ইসরাইলস ফার্স্ট বেদুইন ডিপ্লমেট’ নামে গত জুনে একটি বই প্রকাশিত হয় খালেদির। এতে একজন মেষপালক থেকে কিভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক হয়ে উঠেছেন- সেই কথা বর্ণনা করেছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃসম্প্রতি ৩ নারীসহ ১১ জন কূটনীতিককে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরাইল। তাদের মধ্যে একজন মুসলিম রাষ্ট্রদূতও আছেন। আর এই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক আরব বেদুইন গোত্রের মুসলিমকে নিয়োগ দিয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি।
মেধাবী এই মুসলিম রাষ্ট্রদূতের নাম ইসমাইল খালেদি। উঠে এসেছেন আরব মেষপালক গোত্র থেকে। তাকে আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরাইল।
জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেল।
এদিকে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল নিজেদের বর্ণবাদী অপবাদ ঘোচানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইসরাইলে আরব বেদুইনদের বৈষম্যের বিষয়টি ফলাও করে বিশ্ববাসীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন ইসমাইল খালেদি।
এ পর্যন্ত আসতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে ইসমাইল খালেদিকে।
ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির আস্থাভাজন ইসমাইল ২০০৪ সাল থেকে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো কনসোলেট এবং যুক্তরাজ্যের ইসরাইলি দূতাবাসেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ইসমাইল খালেদি আরব বেদুইনদের অধিকার আন্দোলনে বরাবরই সরব ছিলেন। ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্টে তিনি বলেন, আরব বেদুইনদের তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে ইসরাইলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়া উচিৎ।
একজন কূটনীতিক হয়েও তার দেশের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছ পা হননি ইসমাইল খালেদি।
ইসরাইলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন খালেদি।
‘অ্যা শেফার্ডস জার্নি: দ্যা স্টরি অফ ইসরাইলস ফার্স্ট বেদুইন ডিপ্লমেট’ নামে গত জুনে একটি বই প্রকাশিত হয় খালেদির। এতে একজন মেষপালক থেকে কিভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক হয়ে উঠেছেন- সেই কথা বর্ণনা করেছেন।
তার ওই আত্মজীবনীতে ইসরাইলের বর্ণবৈষম্যের কথাও তুলে ধরেছেন। জেরুজালেমের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশনে একবার তাকে এক নিরাপত্তা কর্মী কালো বলে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন- এ কথাও তিনি লিখেছেন বইটিতে।