খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে (কুয়েট) “বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর” হিসেবে প্রফেসর ড. খুরশীদা বেগম-কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক। “বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর” নিয়োগে কুয়েট দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ১ম এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ৪র্থ। ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক “বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর” উপাধিতে ভূষিত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ১০ ও ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৭৩তম সভায় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নীতিমালা অনুমোদন করা হয় এবং ১০ আগস্ট বুধবার তাঁরই সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের ৮৩তম সভায় “বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর” নিয়োগ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটি’ নামক সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত একটি কমিটির মাধ্যমে সুপারিশকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে ২ বছরের জন্য এ নিয়োগ কার্যকর করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট খুলনা এর সদস্য এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ হোসনে আরা, কুয়েটের রেজিস্ট্রার ও কমিটির সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে “বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর” নিয়োগের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, রাজনৈতিক দর্শন, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তির সাথে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক নানা বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরী হলো। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, কুয়েটের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর’ প্রথিতযশা গবেষক প্রফেসর ড. খুরশীদা বেগম এর হাত ধরে কুয়েটে বঙ্গবন্ধু চর্চার দিগন্ত প্রসারিত হবে”।
উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর গৌরবময় জীবন ও কীর্তি, আদর্শ ও কর্ম এবং ভাষা আন্দেলন, মুক্তিযুদ্ধ, উচ্চ শিক্ষা, বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সাথে সম্পৃক্ত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণার জন্য। নীতিমালা অনুযায়ী পিএইচডি ডিগ্রীধারী জাতীয়/আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজনবিদিত বাংলাদেশী পন্ডিত, শিক্ষকতায় যার কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যিনি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রথিতযশা প্রফেসর ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ হিসেবে প্রতি ২ বছর অন্তর এই নিয়োগ পাবেন। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর’ সম্মানীসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।