ঢাকা জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রাজকে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রীযাপনকালে আটক করে এলাকাবাসী। এ সময় তার কাছ থেকে যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় গ্রামবাসী।
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের খোলামুড়া এলাকার মেয়ে সোমার বিয়ে হয় রুহিতপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মো. মনিরের সঙ্গে। বিয়ের পরে সোমার স্বামী সাউথ আফ্রিকা চলে যান। মনির প্রবাসে গেলে কৃষকলীগ নেতা রাজ তার মামাতো বোন সোমার বাসায় অবৈধভাবে যাতায়াত করা শুরু করে। বিষয়টি সোমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ এলাকাবাসীর নজরে আসে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজ সোমার বাড়িতে আসলে সোমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এলাকাবাসীদের নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। ভোররাতে দুজনকে একসঙ্গে আটক করে তারা। পরে গ্রামবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে থানা নিয়ে আসে।
ঢাকা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাকি উদ্দীন আহমেদ রিন্টু বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা সত্য হলে পরবর্তী মিটিংয়ে আলোচনা সাপেক্ষে তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম বলেন, পরকীয়ার জেরে এক নারী ও এক পুরুষকে রুহিতপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।