একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনে ইতিমধ্যেই সেনা মোতায়েনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এবার বৃহত্তর শান্তিরক্ষী মিশনের অংশ হিসেবে প্রয়োজন হলে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্কও। বৃহস্পতিবার তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রটি বলেছে—আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচিত হলে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে একটি মিশনে অবদান রাখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে।
তুরস্কের এমন আগ্রহের কথা জানা গেল তখনই, যখন ইউক্রেন ও ইউরোপের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার উপায় খুঁজে বের করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে সাক্ষাৎ করেছেন। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য প্রদান স্থগিত করেছেন।
ন্যাটো সদস্য দেশ হিসেবে তুরস্ক রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই তার দুই কৃষ্ণসাগরীয় প্রতিবেশী-ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। দেশটি যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করার প্রচেষ্টায় দুবার সরাসরি শান্তি আলোচনারও আয়োজন করেছে।