১২ বছর বয়সি অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিকার অনুমতি না থাকায় আপাতত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কথা না থাকলেও আগামী ১ মার্চ থেকে বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হচ্ছে।
‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা-সংক্রান্ত বিষয়ে’ সিদ্ধান্ত জানাতে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেয়া হবে।
করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি আরো দুসপ্তাহ দেখে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী।
তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১ মার্চ থেকে খোলার প্রস্তুতি নিতে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, এ বিষয়ে হয়তো রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়া হয়নি, আমাদের পরামর্শকরা বলেছেন যে সংক্রমণ দ্রুত নামছে। আমরা গোড়াতে দেখেছি একেবারে ঊর্ধ্বগামী হলো, ৩০-এ (সংক্রমণের হার) যখন হলো, গতকাল দেখেছি ১২ দশমিক ২০ ভাগে নেমে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই তারা আশা করছেন। ২২ তারিখের পর থেকে ১০ দিন বা দুসপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরকেও শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব বলে আশা করছি। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তাতে প্রাথমিককে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে নিয়ে আসছি না। আর একটু ওয়েট করছি, কারণ তাদের তো টিকা দেয়া হয়নি। আমরা সপ্তাহ দুয়েক একটু দেখব।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের যখনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন নিয়ে তৈরি হবেন তখনই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।