ভারতের উত্তর প্রদেশে প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা করিয়েছেন এক নববধূ। এ ঘটনার পর ওই নারী ও তার প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পুলিশের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভির তথ্যমতে, অভিযুক্ত প্রগতি যাদবের দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনুরাগ যাদবের সঙ্গে। তবে প্রগতির পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। গত ৫ মার্চ দিলীপ নামে এ যুবকের সঙ্গে প্রগতিকে জোর করে বিয়ে দেয় পরিবার।
বিয়ের দুই সপ্তাহ পর গত ১৯ মার্চ দিলীপকে গুরুতর জখম অবস্থায় একটি মাঠে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তার শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক তাকে নিকটবর্তী একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তির করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে স্থানান্তর করা হয় মধ্যপ্রদেশের আরেকটি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সবশেষ তাকে স্থানান্তর করা হয় রাজ্যের আরও একটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ মার্চ মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দেন দিলীপের ভাই। পরে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে, স্ত্রী প্রগতিই প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনি দিয়ে দিলীপকে হত্যা করিয়েছেন। দিলীপকে হত্যার জন্য জনৈক ‘রমিজ চৌধুরীকে’ ২ লাখ রুপি দেন তারা। এ ঘটনায় কথিত ভাড়াটে খুনিকেও আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চারটি কার্তুজ, একটি বাইক, দুটি মোবাইল ফোন, একটি পার্স, আধার কার্ড এবং নগদ ৩ হাজার রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত আছে উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।