এন আমিনঃ সাংবাদিকতা মানেই দুর্নীতি, অপরাধ, ঘুষ, অন্যায়, অবিচারসহ গরিব-দুঃখী অসহায় খেটে-খাওয়া দিনমজুর মানুষের কথা এবং প্রশাসনিক সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনা। দেশে সাংবাদিকরা আছে বলেই আজ দেশে অনেকটাই অপকর্ম শিথিল রয়েছে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকরা দেশের দপর্ণ স্বরুপ। এবং সাংবাদিকরা দেশের বিবেক। এছাড়াও সাংবাদিকরাই একমাত্র সারাদেশসহ বিশ্বের ভালো মন্দ উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরেন জনসমক্ষে।
এদিকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স এবং অনলাইনের কার্ডধারী সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ায় তারাই সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকরা কি সাংবাদিক নয়? আজ প্রেসক্লাবে সদস্য না থাকলে তাদের মতো সাংবাদিকদের কিছু দেওয়া তো অনেক দূরের কথা তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার মতোই যেন কেউ নেই।
প্রেসক্লাবের সদস্য বিহীন সাংবাদিকদের প্রশাসনিক ও বিভিন্ন ঝামেলাসহ কোনো সমস্যা হলে কেউই এগিয়ে আসেনা। এছাড়াও সামান্য কারণে লেলিয়ে যাচ্ছে একজন সাংবাদিক অন্য সাংবাদিকের উপর। অথচ আমরা সাংবাদিক এক প্লাটফর্মের যাত্রী সাধারণ ই সবাই।
এদিকে প্রাণঘাতী মারাত্মক মহামারিতে (কোভিড-১৯) নামক মরণমুখী করোনা ভাইরাসে জীবনের ঝুুঁকিপূর্ণ অবস্থা নিয়ে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত ঘটনাসহ দৈনন্দিন দেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে ব্যস্ত সাংবাদিক নামের বঞ্চিত সাংবাদিকরা।
এছাড়াও দুর্যোগকালীন মুহূর্তে বিভিন্ন প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জন্য সেইফ শিল্ড, স্যানেটাইজার, পিপিই, ত্রাণসহ ছোট-বড় বিভিন্ন সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশ্ন থাকলেও মন্তব্য করার যেন কেউ নেই। প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকরা এমন সহায়তার অনেক বাইরে রয়েছে।
শুধু তাই নয়। প্রেসক্লাবের সদস্য পদে সাংবাদিকরা যাঁরা আছেন তাদের থেকে ৯০% বেশি সরেজমিনে গিয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রতিবেদন সংগ্রহ করে না,প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকরাই বেশী মাঠ পর্যায়ের সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন। এছাড়াও অসহায় গরিব দুঃখী দিনমজুর মানুষের কষ্ট দেখলে আমাদের মতো প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকরাই এগিয়ে আসে। এবং দুঃখের ভাগিদার হয়ে তুলে ধরে তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা।
প্রকৃতপক্ষে দুঃখের সাথে বলতে হয়। সরেজমিনে প্রতিবেদন সংগ্রহে অদম্য ছুঁটে চলা আমাদের মতো প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকরা সরকারি সহায়তাসহ সব কিছু থেকেই বঞ্চিত। অথচ প্রেসক্লাব ভিক্তিক সংবাদের ফেরিওলারা সরকারী দপ্তরে বিভিন্ন প্রগ্রামে যান এবং গালগল্পে ব্যাস্ত থাকেন । শুধু তাইনয় প্রেসক্লাব বিহিন সাংবাদিকরা যখন কোন সরকারী দপ্তরের অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করলে তাদেরকে ঐ প্রেসক্লাবের নামধারী সংবাদের ফেরিওলারা দালালী শুরু করে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের অনিয়মের সাথে জরিতদের সাথে মিলে ।
এদিকে বাংলাদেশের নিবন্ধিত তালিকাভুক্ত অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে। যাঁদের ৮০% প্রতিনিধি কোনো প্রেসক্লাবেথর অন্তর্ভুক্ত নয়।তাহলে কি এমন চরম সংকটময় অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা নামক সহায়তা এসব সাংবাদিকরা পাবে না? এমনকি প্রেসক্লাবেথর অধিনে না থাকায় এমন সাংবাদিকরা সব কিছু থেকে বঞ্চিত থাকবে?এমন প্রশ্নই থেকেই যায় আমাদের প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকদের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাথর প্রতি আমাদের প্রেসক্লাব বিহীন সকল সাংবাদিকরা দাবী তুলে ধরে বলতে চাই, আমাদের মতো সাংবাদিকরা রোদ বৃষ্টি বন্যাসহ দুর্যোগময় অবস্থায় সরেজমিনে প্রতিবেদন সংগ্রহে শীত কিংবা প্রখর রোদ্রে কষ্টে ভেজা জামা পরেই সংবাদ পরিবেশন করে থাকি।
আর তাই আমাদের মতো প্রেসক্লাব বিহীন সকল সাংবাদিকদের প্রতি আপনার নিরীহ সরল সঠিক ভালোবাসার দৃষ্টি নিক্ষেপসহ এমন ডালভাঙ্গা সাংবাদিকের উপর জনদরদি নজর দিয়ে প্রেসক্লাব বিহীন সকল সাংবাদিকরা এ দুঃসময়ে দেশের পাশে থেকে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে দেশের অপরাধ ও উন্নয়নমূলকসহ বিভিন্ন কর্মকা- জনগনের দাঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে সাংবাদিকতার কাজের গতি স্তব্ধ না হওয়ায় একটু হলেও খোঁজ-খবর নেওয়ার আহ্বান জানায় এমন প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকরা।
শুধু এটুকুই বলব বা বলতে চাই, আমরা যাঁরা প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিকতা করছি বা সাংবাদিক পেশায় যুক্ত রয়েছি। তাদেরকে কোনো সুযোগ সুবিধা না দিলেও তাদের প্রতি একটু হলেও খোঁজ খবর নিয়েন। কারণ আমরা প্রেসক্লাব বিহীন হলে কি হয়েছে? আমরা তো সবাই একই প্লাটফর্মের যাত্রী সাধারণ। আমরা যাঁরা প্রেসক্লাব বিহীন সাংবাদিক তাদের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রকৃত পেশাধরী হিসেবে বিবেচনা করে অন্য যারা সাংবাদিক পরিচয় নামে চাঁদাবাজিতে যুক্ত তাদেরকে শীঘ্রই প্রতিহত করা সম্ভব হবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হলে।