বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার চুরি এবং লুটপাট করে এদেশে একটি ডাকাতের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এই যে কভিড-১৯ এতো বড় একটি ভয়াবহ মহামারি, এই মহামারিতেও তারা লুটপাট বন্ধ করেননি। আরো কী লুটপাট করবেন সেজন্য ভ্যাকসিন আমদানির মাধ্যমে লুটপাটের নতুন ব্যবস্থা করছেন। যেখানে ভারত প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন বিক্রি করছে ২ টাকা ৪০ পয়সা করে সেখানে আপনারা বিক্রি করছে ৫ টাকা করে। অর্থাৎ এই চুরির টাকা সব আপনারা নিয়ে যাবেন।
আজ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশের ১৬ কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষ তারেক রহমানের সাথে আছেন। সুতরাং কোনও মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া দিয়ে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আপনারা তো বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিচার বিভাগের কোনও মর্যাদা আপনারা রাখেননি। তারেক রহমান সাহেবকে একটি মামলায় পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই মামলাকে আপনারা হাইকোর্ট দিয়ে আবার সাজানোর ব্যবস্থা করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনারা তাকে সাজা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তা নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত ১২ বছর যাবৎ তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য, এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল গণতান্ত্রিককামী মানুষদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। সেই চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় বেগম জিয়া কারাবন্দি হয়ে আছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও বহু হুলিয়া জারি করে তাকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ এদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রায় ১২ বছর যাবৎ এখানে একটি অত্যাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করছে এই অত্যাচার নির্যাতন মামলার হুলিয়ে দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন করে রাখা যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে গণতন্ত্রকে অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের মানুষ এবারও তাদের বুকের রক্ত দিয়ে এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সস্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য দেন।