চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রয়োজনে তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উপজেলা পর্যায়ে যে নতুন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপনের প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হলো, সেখানে তো শিক্ষক দিতে হবে। যোগ্য শিক্ষকের প্রকট অভাব রয়েছে। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। প্রয়োজন হলে শিক্ষকদের বিদেশে পাঠান। কয়েকশ হলেও আমার আপত্তি নেই। তারা বিদেশে গিয়ে তাড়াতাড়ি প্রশিক্ষণ নিয়ে আসুক।
এম এ মান্নান নিজের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা আশঙ্কা রয়েছে। অনেক জায়গায় সরকারের স্থাপনা নির্মাণ করার পর দেখা যায়, লোক নেই, যন্ত্র নেই, চেয়ার নেই, বেঞ্চ নেই। এটা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। নতুন টিএসসি প্রকল্পে যেন এটা কখনোই না হয়। উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ করছি। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন টিএসসি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হতে হতে শিক্ষক, যন্ত্রপাতি, চেয়ার, টেবিল যেন প্রস্তুত থাকে।
আজকের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়) নামে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে সরকার ব্যয় করবে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এ প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অন্য নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি শিল্প-কারখানার পাশে জলাধার রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে জলাধার থাকলে ভালো হয়। যাতে আগুন লাগলে পানি দেওয়া যায়। অবকাঠামো নির্মাণ করতে মাটি কাটতেই হয়। সুতরাং কাটা মাটিতেই একটা জলাধার হয়ে যাবে। একই সঙ্গে শিল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ও তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) অবশ্যই থাকতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার একনেক সভায় ৮টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।