চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো প্লাজমা থেরাপি শুরু হয়েছে। বাগেরহাটের বাসিন্দা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ইন্টার্ন চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মঞ্জুরুল এ প্লাজমা দান করেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা করোনা হাসপাতালে (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) আনুষ্ঠানিক এক রোগীর শরীরে এ থেরাপি প্রয়োগ করা হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের ট্রান্সফিশন মেডিসিন বিভাগ ও কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এই গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান তরুণ জানান, ডাঃ মঞ্জুরুল গত ১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসক এর পরামর্শে সুস্থ হন এবং তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তিনি পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের চিকিৎসকদের আহবানে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসেন। খুমেক হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে তার প্লাজমা দান করেন। আজ উক্ত ব্যক্তির শরীরে ডাঃ মঞ্জুরুল এর প্লাজমা খুলনা মেডিকেল কলেজ এর ইথিকাল কমিটির অনুমোদন নিয়ে প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডা. মঞ্জুরুল এর অবদান খুলনাবাসীর জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুমেক এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আহাদ, উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রোজেক্ট এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও ট্রান্সফিশন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এস, এম, তুষার আলম, কো- ইনভেস্টিগেটর অধাপক ডা. শেখ আমির হোসেন, ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক, ডা. খসরুল আলম মল্লিক, সহযোগী অধ্যাপক, ডা. শাহনাজ পারভীন, সহকারী অধ্যাপক, ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, কনসালটেন্ট মেডিসিন এবং ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, মেডিকেল অফিসার ট্রান্সফিশন মেডিসিন বিভাগ।
এছাড়া এই টিমের অন্যতম একজন কো-ইনভেস্টিগেটর, বিশেষজ্ঞ হিসাবে সব সময় পরামর্শ দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিশন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারাহ আনজুম সোনিয়া।