চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনায় প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খালিশপুর জুট মিলের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোঃ লিয়াকত হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত না মঞ্জুর করেন। খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত রবিবার মিলের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শফি উল্লাহ খুলনার সিএমএম আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
চার্জশীটভুক্ত আসামিরা হলেন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, খালিশপুর জুট মিলের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোঃ লিয়াকত হোসেন ও বিজেএমসি আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনার ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) শংকর চন্দ্র ভূঁইয়া। চার্জশীট থেকে দু’জনকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তারা হলেন প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের উপ-ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোঃ আখতারুজ্জামান ও দি ক্রিসেন্ট জুট মিলের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) খন্দকার সাইফুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩ মে থেকে ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে আসামিরা লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিলের ওয়েস্টেজ রোল স্তূপাকারে জমা করে উক্ত রোলের ওজন ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকৃত ওজনের চেয়ে বেশী দেখিয়ে ১ হাজার ১শ’ ১৭ মেট্রিক টন পাট ও পাটজাত দ্রব্য যার সরকারি মূল্য ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ২৭৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শফি উল্লাহ বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং-১৩, তারিখ-৯/১২-১৬।