সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ফকিরহাটে জমেনি ঈদ বাজার কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই | চ্যানেল খুলনা

ফকিরহাটে জমেনি ঈদ বাজার কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই

আসাদুজ্জামান আসাদ :: ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশী। ঈদের সেই আনন্দ বহুগুণ বাড়ে নতুন কাপড়চোপড় পরিধান করে। ঈদ মানে নতুন কাপড় পরা।ঈদ মানে নতুন কাপড় কেনা। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের দিন মানেই যেন নতুন কাপড় পরে খুশীতে মেতে ওঠা।  মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব সেই ঈদুল ফিতরের বাকী দিন দশেক। অথচ কোথাও যেন সেই আনন্দের লেশ মাত্র নেই। দেখতে দেখতে রমজান এখন শেষ দশকে। অথচ কাপড়ের মার্কেটগুলো এখনো ফাঁকা। ক্রেতাশুন্য কাপড়ের মার্কেটগুলোতে চৈত্রের খাঁ খাঁ অবস্থা। আর দোকানীদের চোখে মুখে বেচাবিক্রি না থাকার চরম হতাশা। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই বললেই চলে। গত বছরের তুলনায় এবছর ক্রেতা উপস্থিতি ও বেচাকেনা অনেকটা ঢিলেঢালা। একই অবস্থা ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। তবে ব্যবসায়ীদের আশা ২৫ রমজানের পর থেকে হলেও জমজমাট হয়ে উঠবে বাজার। ওই সময়ের আগে প্রায় পুরোদমে বোরো ফসলের ধান কাটা বেচাকেনার ঝামেলা যাবে। ধান বিক্রি করে কেনাকাটা করবেন অনেকেই।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফকিরহাট বাজারের বিভিন্ন কাপড়ের মার্কেট সহ আশপাশের ফুটপাত ঘুরে ঘুরে তেমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রেতার উপস্থিতি দেখা যায়নি।
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলাকে বলা হয় শ্বেত স্বর্ণা রুপালি চিংড়ির খনি। সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির স্বর্গে মানুষেরা যে অর্থাভাবে ঈদের কাপড় কিনতে পারছেনা তা বিশ্বাস করছেননা কাপড় দোকানীদের অনেকেই। তাদের ধারনা, রমজানের শুরু থেকে যে ক্রেতা শুন্যতা তা ঘুচে যাবে রমজানের শেষ সপ্তাহে । কৃষিনির্ভর ফকিরহাটে এখন ক্ষেতে দুলছে পাকা ধান। কারো কারো ধান কাটাইয়ের পর  মাড়াইয়ের কাজ চলছে। উঠানের ধান গোলায় উঠছে। পানে দাম ছিলো, মাছেও দাম ভালো গেছে। ঈদের কেনাকাটাও তাই বাড়বে। ঈদের মার্কেট তাই  অবশ্যই জমবে। কথাগুলো বললেন, ফকিরহাট বাজারের কাপড়ের মার্কেটে সবার কাছে পরিচিত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সাগরিকা বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী ও ফকিরহাট বাজার বনিক সমিতির  সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম।
ফকিরহাট বাজারে বেশ কয়েকটি কাপড়ের  মার্কেট রয়েছে। মুল কাপড়পট্টির বাইরে আরো কমপক্ষে পাঁচ ছয়টি কাপড়ের মার্কেট গড়ে উঠেছে। ঈদকে সামনে রেখে সব দোকানীই তাদের নতুন কাপড় দোকানে ওঠানোর কাজ সেরে ফেলেছে।তবে কাপড় কেনার আশায় মার্কেটে আসা ক্রেতার সংখ্যা এখনো অনেক কম। যারা আসছে, তারা উল্টে পাল্টে এটা ওটা দেখে দাম শুনে চলে যাচ্ছে। বিক্রি যা হচ্ছে তার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাচ্চাদের পোষাক। পাঞ্জাবী বা শাড়ী কেনাবেচা এখনো শুরুই হয়নি বলা যায়। বাজারের জুতা স্যান্ডেলের দোকান গুলোর অবস্থাও ওই একই রকম।
কেন শুধু বাচ্চাদের পোষাক বিক্রি হচ্ছে প্রশ্নে চেয়ারম্যান মার্কেটের ফ্যাশন পয়েন্ট স্বত্বাধীকারী শেখ রিপন হোসেন জানালেন, মানুষের খরচ বেড়েছে, সবকিছুর দাম বাড়তি।তাই অভিভাবকরা তাদের পরিবারের ছোটদের ঈদকাপড়ের চাহিদা পুরন করছেন আগেভাগেই।
নাসরিন নামের এক ভদ্রমহিলা তার এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে এসেছিলেন স্বচ্ছ ফ্যাশনে। তিনিও তার দু’সন্তানের কাপড় কিনে নিয়ে বাসায় ফিরছেন। স্বামী বা তার বেলায় ঈদকাপড়ের কি হবে প্রশ্নে তিনি জানালেন, সময় আছে। হবে।
কলেজ পড়ুয়া ছাত্র লাবিব পাঞ্জাবী কিনেছেন লিটন মার্কেট থেকে। দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বললেন, আগের বছরের মতই। স্টার, কমলা, চেয়ারম্যান মার্কেট, তালুকদার মার্কেটে বিক্রি কম হতে থাকলেও কাস্টমার আসছে যাচ্ছে। ওইসব মার্কেট গুলোর দোকানীরাও আশায় বুক বাধা। তাদের ধারনা, মার্কেট জমবে। শেষ তিনদিনে প্রচুর কেনাকাটা হবে।
দোকানে দোকানে ঘুরে ওলোট পালোট করে বেড়ানো চারজন কলেজছাত্রীর একটি দলকে কিছু সময় ধরে ফলো করার পর জানতে চাওয়া হলো, আপনাদের তো হাত খালি, কেনাকাটা করলেন না; ঘুরলেন আর দেখলেন এর কারন কি? তারা জানালেন, আমরা কিনবো ঠিকই, দাম যাচাইয়ের সাথে পছন্দও কোনটা সেটা ঝালাচ্ছি। বাড়ী ফিরে মা-বাবার কাছে টাকার চাহিদা জানাবো।টাকাটা পেলেই দেখবেন নতুন কাপড়ভরা নতুন শপিং ব্যাগে হাতও ভরা।
লালন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী লালন শিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলো, মানুষ কাপড় কিনছে না শুধু দেখছে; কারন কি মানুষ কাপড় কিনতে শহরের মার্কেটে যাচ্ছে?  তিনি বললেন মোটেই না। দাম এখানেই স্বাভাবিক। ঈদ উপলক্ষে নতুন কাপড়ের সমাহার শহরের মত আমাদের কাছেও পর্যাপ্ত।
কাপড়পট্টির চিপা রাস্তার একপাশে কাস্টমার নিয়ে আসা ভ্যানচালক জামশেদ বললেন, সাংবাদিক ভাই আমার কাছে কিছু শোনবেন না? চাঁন রাত্তিরি কেনবো ছুয়াল মাইয়েত্তা। তারফরে অবস্থা বুইজে আমাইগে ব্যাবস্তা।
মাঝবয়সী আরেক ভ্যানচালকের বয়ান, ফিতিবির ম্যালা দ্যাশে সবতার দাম বাড়িছে। উপজেলা চিয়ারমেন স্বপন দাশের মিটিংয়ি শুনিছি। দাম বাড়াডার কারন অলো জুদ্দ। সগলরেই ইসেব কইরে চলতি অবে। এডা সংকট। এডা বিশ্বসংকট।

https://channelkhulna.tv/

বাগেরহাট আরও সংবাদ

ফকিরহাটে বন্যার্তদের সহায়তায় প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

চিতলমারীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা শাখার অফিস উদ্বোধন

ফকিরহাটে ব্যবসায়ির বাড়িতে দুর্ধষ চুরি ঘটনা ঘটেছে

চিতলমারীর শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান কাজীর স্ত্রী’র ইন্তেকাল

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন জমা দিলো মোংলা বন্দর

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন দিল মোংলা বন্দর

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।