বাগেরহাটের ফকিরহাটে মহাষ্টমী তিথিতে পূজামন্ডপগুলোতে নানা উপকরণ দিয়ে মা দুর্গাকে পূজা আর আরাধোনা করা হয়। পূস্পাঞ্জলী দিতে সকাল থেকে পূজামন্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড় দেখা গেছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে মানসা কালি মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের অসংখ্য ভক্ত ফুল-বেলপাতা হাতে নিয়ে মা দুর্গার পায়ে অঞ্জলী দিয়েছেন। ঢাকের বাজনা, শঙ্ক আর উলুধ্বনীতে মুখোরিত হয়ে উঠে পূজামন্ডপগুলো। চন্ডিপাঠ আর পূজারমন্ত্র ধ্বনীত হচ্ছে মন্ডপগুলোতে। মহাষ্টমী আর সন্দিপূজা শেষ মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
অঞ্জলী দিতে আসা কয়েকজন ভক্ত জানান, মা দুর্গার পায়ে পুস্পাঞ্জলী দিতে পারলে মা দুর্গা তাদের মনেবাসনা পূন্ন করবে। পুস্পাঞ্জলী শেষে মা দুর্গার কাছে তাঁরা সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনা করেছে। সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে।
অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনা পুজোই হলো সন্ধিপূজা। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। নবমীর দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। বিজয়া দশমীর দিন রবিবার বিকাল থেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব সমাপ্তি ঘটবে।