বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার উৎসবমূখর পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী সুÑপ্রাচিন ও সুÑপ্রসিদ্ধ মানসা কালি মন্দিরে ৫০তম (সুবর্ণজয়ন্তী) পুন: প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত গ্রামীণ মেলায় হাজারো দর্শনার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে। রোববার (২৬ মার্চ) দিনব্যাপি এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে এসে চুড়ি, ফিতা, থালা, বাসন, খেলার সামগ্রী, সাজসজ্জার উপকরণসহ নানা রকম নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। নিজেদের পছন্দের জিনিসটি কিনতে এখানে ছুটে আসের বিভিন্ন জায়গার মানুষ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে মানসা কালি মন্দিরে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের এক আমেজ। এখানে আসা সকল দর্শনার্থীদের একর্টি বিদ্যালয়ের মাঠে সারিবদ্ধ ভাবে বসিয়ে প্রসাদ পরিবেশন করা হয়।
দিনব্যাপি অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল সকাল ৯টা থেকে পূজা আরম্ভ, ১০টায় শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠ, দুপুর ১২টায় মাঙ্গলিক প্রার্থনা, দুপুর ২টায় প্রসাদ বিতরন করা হয়। এদিন সন্ধায় মঙ্গলারতি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
মন্দির কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ হালদার বাটুলের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক বাবলু কুমার আশেঁর পরিচালনায় এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম ফকির ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মানসা কালী মন্দির কত শতকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা কেউ বলতে পারেন না। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক ধংসপ্রাপ্ত হয় মন্দিরের কালি মূর্তি সহ অন্যান্য বিগ্রহগুলি এবং লুন্ঠিত হয় অলংকার সমূহ। পরবর্তীতে স্বাধীনতার পরে ১৯৭৪ সালে এই দিনে (১১চৈত্র) বাগেরহাটের নাগের বাজার নিবাসী ধীরেন্দ্র নাথ দামের অর্থায়নে কালি মূর্তি সহ অন্যন্য বিগ্রহ পুনরায় নির্মান করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনটি উৎসবমূখর পরিবেশে পালন করা হয়। অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও দিনটি ¯া^াড়ম্বরে উৎযাপিত হয়েছে।