আসাদুজ্জামান আসাদ :: এখন মৌসুম নয় আর সরবরাহ কম, এই দুই অজুহাতে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। বাড়তি দামে সবজি কিনতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে ক্ষোভ ঝাড়ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত সহ প্রায় সব শ্রেণির মানুষ। ক্রেতাদের বাড়তি দামজনিত আর্থিক অসহায়ত্বে বিক্রেতারা নির্বিকার।বিক্রেতারা বলছেন, শীত শেষে সবজির দাম প্রতিবারই বাড়ে, এবারও বেড়েছে, আগামীতেও বাড়বে। রীতিমত সতর্কবানী ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে, আপাতত দাম কমার সম্ভাবনা নেই, বরং দাম আরো বাড়তে পারে।
ফকিরহাট সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
অন্যদিকে শিম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা আর বিচিসহ শিম ৬০ টাকা, প্রতি কেজি করোলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, আর প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফকিরহাট বাজারের পুরাতন সুপারীপট্টি এলাকার কাঁচা বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘শীতে সবজির দাম কম থাকে এরপর মৌসুমি সবজির উৎপাদন সরবরাহ কমে আসে, ফলে দাম কিছুটা বাড়ে। এখন চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময় হলো সেই দাম কিছুটা বাড়ার সময়। রমজান উপলক্ষে দাম বাড়ানো বা সিন্ডিকেটজনিত কোনো বিষয় নেই এই দাম বাড়ার সাথে। আমরা পাইকারি বাজারে যখন যেই রেটে মাল পাই, পরিবহন খরচসহ কিছুটা লাভ রেখে তারপর তা বিক্রি করি। তাই যখন আমরা কম দামে কিনতে পারি, তখন কমেই বিক্রি করি।’
ফকিরহাটে ব্যাপক সবজির উৎপাদন হবার পরও কিছু কিছু সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে অন্য এক সবজি বিক্রেতা জানান, এখন যে সবজির মৌসুম না সেই সবজির দাম কিছুটা বেশি। কারণ এই সময়ে এসে ওইসব সবজির উৎপাদন বা সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়।
তবে দামের বাজারে আকাশে উড়তে থাকা সজিনা ডাটা আপাতত নীচের দিকেই ধাবমান রয়েছে। কয়েকদিন আগে যে সজিনা ডাটা বিক্রি হচ্ছিল ২০০ টাকা দরে প্রতি কেজিতে তা এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকার নীচে। কম দামে একমাত্র আলু প্রতি কেজিতে তার ২০ টাকা দর নিয়ে মোটামুটি বহুদিন ধরে শান্ত আছে।