আসাদুজ্জামান আসাদ, ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:: এ মৌসুমে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় আমনের আবাদ হচ্ছে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে। ফকিরহাটের কৃষকরা রোপা আমনের রোপনের কাজ শেষ করেছে প্রায় নব্বই ভাগ জমিতে। বাকী দশভাগ কাজ শেষ করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছর কৃষকরা। প্রণোদনার সার বীজ প্রাপ্ত কৃষক বর্ষা মৌসুমের পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি পেয়ে প্রয়োজনীয় রসদে উচ্ছ্বসিত হয়ে রোপনের কাজ সহাস্যেই শেষ করছে বলে জানান, ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ সাখাওয়াত হোসেন।
কৃষি অফিস সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যের বাস্তবতাই দেখা মিলেছে ফকিরহাট উপজেলার ফসলি জমিতে। এ মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে আমন চাষ ভালো হবে বলে আশা বাদি উপজেলার কৃষকরা।
ফকিরহাট উপজেলায় প্রতি বছর প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়ে থাকে। গেল বছর প্রায় সমপরিমাণ জমিতে আমনের আবাদ করেছিলো উপজেলার কৃষকরা। দিগন্ত জোড়া বিস্তৃত সবুজ ধান বাম্পার ফলন দিয়ে গোলায় উঠেছিল। অর্জিত লক্ষ্যমাত্রায় হেসেছিল ফকিরহাটের কৃষকরা।
এ মৌসুমের গোড়ার দিকে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় ভেঙ্গে পরেছিল কৃষক। মৌসুমি আবাদ নিয়ে আশংকা বাড়ছিল কৃষকের মনে। বৃষ্টি না হওয়ায় শংকিত কৃষকের কপালের চামড়ার ভাজ দিন দিন মোটা হচ্ছিল। সেচ দিয়ে বীজতলা প্রস্তুত করার পর চারা গজালেও বৃষ্টির অভাব ভোগাচ্ছিল রোপনে। এরপর গেল একমাস ধরে চাষ উপযুক্ত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষক হাফ ছেড়ে বেঁচেছে কৃষকদের। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, কিছু কৃষক দলবেধে জমি চাষ দিচ্ছে, কেউ আবার ব্যাস্ত আমনের চারা তুলতে। অপর দিকে দেখা গেছে, কেউ কেউ প্রস্তুতকৃত জমিতে রোপন করছে আমন ধানের চারা। আর যে সকল কৃষক ইতিমধ্যে চারা রোপন সম্পন্ন করেছেন তারা ব্যাস্ত সময় পার করছে গাঢ় সবুজ হয়ে ওঠা ধানগাছের পরিচর্যার কাজে।
ফকিরহাট উপজেলায় প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। সেচনির্ভর বোরো মৌসুমে সেচ প্রক্রিয়ায় পানির অভাব ঘুচিয়ে কৃষকেরা আবাদে ব্যস্ত থাকে। আমন আবাদের মুল ভরসা বৃষ্টি। জুলাই-আগষ্ট জড়িয়েই জমি প্রস্তুত ও রোপনের উপযুক্ত সময় আমনের। ফকিরহাটে উপযুক্ত সময়েই এবছর আমনের আবাদ পুরোটাই সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানিয়েছে, বীজতলা প্রস্তুতকালীন সময়ে সার বীজ প্রদান পূর্বক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ-পরামর্শে আমরা কৃষকের পাশেই ছিলাম। রোপণ কালীন এই সময়েও তাদের পাশে আছি। ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ-সহযোগিতা প্রদানে কৃষি অফিস তৎপর থাকবে। কৃষক যাতে সার সংকটে না পড়ে সেদিকেও আমাদের নজর আছে। মজুদ আছে পর্যাপ্ত সার। আশা করা যায়, ফকিরহাটে আমন আবাদ তার লক্ষ্যমাত্রা পুরন করবে।