চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডারস্থ মান্নানিয়া পশ্চিম নানুপুর দারুসসালাম ঈদগাহ মাদ্রাসার নির্মাণ কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও তৌহিদি জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভ এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
মঙ্গলবার দুপুরে হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইনআমুল হাসান ফারুকীর মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি ওই ঘটনায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে হেফাজত আমির আল্লামা বাবুনগরী বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দারুসসালাম ঈদগাহ মাদ্রাসার নির্মাণ কেন্দ্র করে ভাঙচুর চালিয়ে এবং তৌহিদি জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে। এভাবে দিনদুপুরে তৌহিদি জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক।
অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের জনগণ মাদ্রাসা ও আলেমপ্রিয়। দ্বীন ইসলামের সংরক্ষণে কওমি মাদ্রাসা ও ওলামায়ে কওমিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কওমি মাদ্রাসা অনেক অবদান রয়েছে। যারা কওমি মাদ্রাসায় হামলা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এ দেশের তৌহিদি জনতা তাদের কালো হাত ভেঙে দেবে।
হতাহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে বাবুনগরী বলেন, ওই মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকের কোনো প্রকারের দোষ না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মাদ্রাসায় ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মাদ্রাসায় এহেন সন্ত্রাসী হামলা কখনও মেনে নেয়া যায় না। এ ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসাকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তা ছাড়া আগামীতে যাতে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসায় হামলা এবং আলেমদের নিয়ে বিষোদগার করে ফটিকছড়ির শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।