চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের নীল কমল টহল ফাঁড়ির ওসি (ফরেস্টার) শ্যামা প্রসাদ রায়সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে লিখিত আরজি দাখিল করেছেন নগরীর টুটপাড়া মাওলা বাড়ির মোড় এলাকার বাসিন্দা বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস। উক্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (খুলনা সদর) আমলী অঞ্চলের বিচারক ড. মোঃ আতিকুস সামাদ এ নির্দেশ দেন।
বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস লিখিত অভিযোগে বিবাদীরা হলেন সুন্দরবন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের নীল কমল টহল ফাঁড়ির ওসি (ফরেস্টার) শ্যামা প্রসাদ রায়, বনপ্রহরী জেড এম মঞ্জুরুল করিম ওরফে মঞ্জু, নৌকা চালক মোঃ একরামুল হক, লালন খালিফা, ফারুক হোসেন ও মিজানুর রহমান। বাদীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ব্যবসায়িক সুবিধার্থে সুন্দরবন বনবিভাগ হতে জেলে বাওয়ালীদের পারমিটের মাধ্যমে দুবলার চরে মাছ ধরতে পাঠায়। কিন্তু খুলনা রেঞ্জের নীল কমল টহল ফাঁড়ির ওসি শ্যামা প্রসাদ রায়সহ অন্যান্যরা জেলেদের জিম্মি করে প্রতি নৌকায় ৪ হাজার টাকা করে আদায় করে। বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের নিয়োজিত জেলে বাওয়ালীদের নিকট থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন তারা। সবশেষ ৯ অক্টোবর মাছ ধরা বন্ধ হলে দুবলার চর হতে জেলে বাওয়ালীরা ফিরে আসার সময় আসামিরা তাদের মারপিটের পাশাপাশি ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ফরেস্টার শ্যামা প্রসাদ রায় মুঠোফোনে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে বলেন রূপসা ব্রিজের নিচে বনপ্রহরী মঞ্জু আছে তার কাছে টাকা দিতে। মঞ্জুকে ২ লাখ টাকা দেয়ার পর ৩২০টি নৌকাকে মাছ ধরার অনুমতি দেয়ার জন্য আরো ৩লাখ টাকা চাঁদা নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলে ফরেস্টার শ্যামা প্রসাদ রায় ও বনপ্রহরী মঞ্জু তাদের হুমকি দেয়। সুন্দরবনে আসলে তাদের মেরে সাগরে ভাসিয়ে দিবে বলে জানায়।
এর আগে মঙ্গলবার একই অভিযোগে অপর এক ভুক্তভোগী মৎসজীবী কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের নীল কমল টহল ফাঁড়ির ওসি (ফরেস্টার) শ্যামা প্রসাদ রায়সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।