হারানো মুকুট ফিরে পেলেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। ব্লুমবার্গের করা শতকোটিপতি তালিকায় ফের এশিয়ার শীর্ষ ধনী এখন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি পিছনে ফেলেছেন বেভারেজ কোম্পানি নোংফু স্প্রিংয়ের মালিক চীনা ধনকুবের ঝং শানশানকে।
ব্লুমবার্গের দেওয়া হালনাগাদ হিসেবে এই মুহূর্তে আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় তার পরিমাণ ৬ দশমিক ৬২ লাখ কোটি রুপি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঝংয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
এর আগে টানা দু’বছর এশিয়ার শীর্ষ ধনী ছিলেন আম্বানি। তাকে সিংহাসনচ্যুত করেন আলিবাবার মালিক চীনা ধনকুবের জ্যাক মা। এরপর আর সেই শীর্ষস্থান ফিরে পাননি আম্বানি। অবশেষে ফের সেই মসনদে ফিরলেন রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের কর্ণধার।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় গত আগস্টেও চার নম্বরে ছিলেন মুকেশ। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসে বেশ কয়েক ধাপ নেমে যেতে হয়েছিল তাকে। রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম দ্রুত পড়তে থাকায় ধনকুবের তালিকার শীর্ষ দশ থেকে ছিটকে যেতে হয় তাকে।
গত আগস্টে ২৪ হাজার ৭১৩ কোটি রুপির বিনিময়ে ‘ফিউচার গ্রুপ’র খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা এবং লজিস্টিক্স ও ওয়্যারহাউজিং ব্যবসা কিনে নিয়েছিল রিলায়েন্স। তখন কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য ছুঁয়েছিল সর্বোচ্চ অবস্থান।
কিন্তু এরপর দরপতন শুরু হয়। নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের সঙ্গে রিলায়েন্সের ব্যবসায়িক সংঘাত। মুকেশ আম্বানির সংস্থার সঙ্গে ‘ফিউচার গ্রুপ’র চুক্তি নিয়েই আপত্তি অ্যামাজনের।
গত বছরই ‘ফিউচার কুপনসে’ প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে তারা। এমন অবস্থায় ‘ফিউচার গ্রুপ’ রিলায়েন্সকে সব সম্পত্তি বেচে দেওয়াতেই আপত্তি তোলে অ্যামাজন। এই বিতর্ক ও প্রতিবাদের ধাক্কাতেই আম্বানির কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হয়।
এর ফলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর প্রথম দশের তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়ার পাশাপাশি এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তির তকমাও হারান তিনি। অবশেষে তিনি আবার সেই স্থান দখল করলেন।