জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আটলান্টিক সিটি মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়র। নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন।
শনিবার (৫ জুন) নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বৈঠকে কনসাল জেনারেল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান এবং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও ত্যাগী জীবন ইতিহাস তুলে ধরেন। কনসাল জেনারেল বলেন, শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার অর্জনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ বিশ্বনন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধু আজ বিশ্ববন্ধুর মর্যাদায় আসীন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পাদিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দা রিপোর্ট বিষয়ক বইগুলো মেয়রের কাছে হস্তান্তর করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। এ সময় মেয়র গভীর আগ্রহভরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন সম্বন্ধে জানেন এবং জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন হিসেবে বইগুলো সযতেœ আটলান্টিক সিটি হলে সুরক্ষিত থাকবে বলে তিনি জানান।
নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়রের আমন্ত্রণে ‘এশিয়ান কনস্যুলেট অ্যান্ড রিসোর্স ডে’ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা গত ২-৩ জুন আটলান্টিক সিটি সফর করেন। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও স্বাগত জানান মেয়রসহ সিটি হলের অন্য কর্মকর্তারা।
আটলান্টিক সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠককালে কনসাল জেনারেল আরও বলেন, ২০২১ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই আনন্দঘন মুহূর্তে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্যগতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের সাফল্যগাথা তুলে ধরেন কনসাল জেনারেল।
সাক্ষাতকালে কনসাল জেনারেল আটলান্টিক সিটি মেয়রকে বাংলাদেশি-আমেরিকান জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন সেবা ও সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিকদের কল্যাণের জন্য একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে সহায়তা করার আশ্বাস দেন। তিনি মেয়রকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান
আটলান্টিক সিটি কনভেনশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো আটলান্টিক সিটিতে পালন করা হয় ‘এশিয়ান কনস্যুলেট অ্যান্ড রিসোর্স ডে’। আটলান্টিক সিটি প্রশাসনসহ কমিউনিটি বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের কনস্যুলেট জেনারেল, অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পে দুই দিনব্যাপী চার শতাধিক বাংলাদেশি, বাংলাদেশি-আমেরিকানকে কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়েছে।