মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যদি কোনো বাধা-বিপত্তি থাকে সে ক্ষেত্রে আলোচনা করতে রাজি আছে বাইডেন প্রশাসন। এ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে, কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা হয়েছে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান আইনমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
এসময় বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য আবারও চিঠি দিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে অনুরোধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র পালিয়ে আছেন। তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। রাষ্ট্রদূতকে পরিষ্কার বলা হয়েছে এ দাবির বিষয়ে।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিষয়টিকে একটা বার্নিং ইস্যু মন্তব্য করে, এসব ইস্যু দ্রুত ফয়সালা করা দরকার বলে রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কথা জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ ইস্যুতে দু’দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হোক সেটি রাষ্ট্রদূতও চান না। এ বিষয় নিয়ে কিছু মডালিটির আলাপ হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেই মডালিটি অনুসারে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
বৈঠকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কখনোই বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেনি। এর ফলে গণমাধ্যম মুক্তভাবে তাদের সংবাদ পরিবেশন করতে পারছে।
এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, মানবপাচার এবং সাইবার ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেবে তারা।