সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রসেনানী। দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই বুঝতে পেরেছিলেন, বাঙালির ভাষার ওপর আঘাত আসতে পারে। মাতৃভাষা বাংলার প্রতি ছিলো জাতির পিতার অপরিসীম দরদ ও শ্রদ্ধাবোধ। বাংলাকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন হৃদয়ের গভীরতম ভালোবাসায়। আর সে কারণেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তিনি সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর ডাকা ধর্মঘটে তিনি গ্রেপ্তার হন। তিনিই ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তানের প্রথম রাজবন্দি। পরবর্তীতে কারাগারে থেকেও তিনি এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক ভাষা শহিদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে উত্তরায়ণ একাডেমি ও বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও কানাডা প্রবাসী দুই বাঙালি রফিক ও সালামের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে।
উত্তরায়ণ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পী লিলি ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রিয়াংকা হালদার শিখা।
প্রতিমন্ত্রী পরে উত্তরায়ণ একাডেমি আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।