চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দ্বিতীয় সুরঙ্গপথের খনন কাজও শেষ। এখন বাকি আছে রাস্তা তৈরিসহ আনুষাঙ্গিক কাজ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দূরত্ব কমাতে মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভও যুক্ত হয়েছে টানেলে।
এভাবে কাজের গতি ধরে রাখতে পারলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই দক্ষিণ এশিয়ার এই প্রথম টানেল দিয়ে পরিবহন চলাচল করতে পারবে বললেন প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী।
আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বহুল প্রতিক্ষার টানেল তৈরি হলেই আমূল পরিবর্তন আসবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবাহে। নগরের যানজটও কমবে অনেকটা।
স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে চারলেনের সুরুঙ্গ পথ। গত বছরের আগস্টে শেষ হয় প্রথম টিউবের কাজ। এবার শেষ হলো ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতীয় টিউবের খনন কাজ।
প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলছেন, এরই মধ্যে প্রকল্পের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, বাকি ২৩ শতাংশ কাজ প্রকল্পের মেয়াদের অনেক আগেই শেষ হতে পারে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটন, আবাসন ও যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় নির্মিত হচ্ছে এই টানেল। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন চার হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা আর চীনের ঋণ পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চলবে টানেল দিয়ে পরিবহন।
এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্তিসহ ৭টি গুরুত্ব লক্ষ্যে নির্মাণ হচ্ছে এ টানেল।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ সভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলছেন, টানেলটি উন্মুক্ত হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ পাশ থেকে ওপাশে চলাচল ও পণ্যপরিবহন করা যাবে। এতে করে নদীর ওই পাড়ে যে কলকারখানাগুলো গড়ে উঠেছে তাদের পণ্য খুব সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
আর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক নাদের খান বলছেন, এই টানেল নির্মাণের ফলে অর্থনৈতিকভাবে আরো চাঙা হবে চট্টগ্রাম। সম্প্রসারিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য। একই সাথে চট্টগ্রাম শহরের উপর থেকে বাড়তি চাপ কমবে।
৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালে একনেকে পাশ হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে।