মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মণ্ডল, কৃষক প্রতিনিধি নিকুঞ্জ বিহারী সরকার, মো: ফজলুর রহমান লাভলু, আরুণি সরকার, প্রনব গোলদার, মো: মাসুদ বিশ্বাস, আশীষ মণ্ডল, শেখ খোসরুল আলম, শ্যামল সরকার, মো: শুকুর খন্দকার প্রমুখঃ। মাঠ দিবসের কর্মসূচিতে বটিয়াঘাটা সদর, গঙ্গারামপুর, সুরখালী ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নের ৩০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারীরা আমন ধানের জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ১১৪ প্রজাতির স্থানীয় প্রজাতির ধানের পিভিএস প্লট পরিদর্শন করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এলাকা উপযোগী ২১টি ধানের জাত নির্বাচন করেন। প্লটের ১১৪ জাতের আমন ধানের মধ্যে নির্বাচিত জাতগুলোর হলো: মন্তেশ্বর, বেনাঢোল, বাঁশফুল বালাম, কিরণশাইল, মরিচশাইল, মঘাইবালাম, রুপেশ্বর, জটাইবালাম, রানী স্যালোট, বেনাপোল, কলমীলতা, স্বর্ণা, কুমড়াগোড়, যাজিনী মোটা, কইজুড়ি, গোপালভোগ, কাঁচড়া, হাতিবজড়। এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে লোকজ ধান, আলোধান, আরুণি ধান কৃষকরা বেশি পচ্ছন্দ করেছেন।
স্থানীয় ধানগুলোকে আমাদের বীজ নিরাপত্তার জন্য রাখতে হবে। স্থানীয় ধানবীজ বিতরণের মাধ্যমে সংরক্ষিত ১১৪ প্রজাতির ধান সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখায় স্থানীয় কৃষক ও অতিথিরা লোকজ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।