বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়ে পুতুল হত্যার মামলার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে।
গতকাল সোমবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এস আই প্রভাষ কুমার সাহা বলেন, ছয়জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে হত্যার উদঘাটনের। এই হত্যা সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা। আজ তাদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন,উপজেলার হাটবাটি (খৈয়াতলা)এলাকার বিকাশ মিস্ত্রীর ছেলে বিপ্লব মিস্ত্রী(৩৪),কালিনাথ মিস্ত্রীর ছেলে বিকাশ মিস্ত্রী (৬৭) ও নারায়ন মিস্ত্রী (৭০),
দেবদাস মন্ডলের ছেলে দেবব্রত মন্ডল (৩৬),
শান্তিরাম মন্ডলের ছেলে দেবদাস মন্ডল (৬০),
চক্রাখালী এলাকার হরিপদর ছেলে সুভাষ চন্দ্র (৫২)। হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য আসামিদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
গতকাল সোমবার সকালে বটিয়াঘাটা উপজেলার হাটবাটি (খৈয়াতলা) এলাকা থেকে পুতুল নামের চল্লিশ বছরের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার বিবারনে জানা যায়,প্রকাশ মিস্ত্রীর পারিবারিক সমস্যার কারণে খুন হতে হয় পুতুলকে। নিহত পুতুলের ভাই রাজেন্দ্রনাথ মন্ডল বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৩। তারিখ ১৩/১২/২১। পরে মামলার সূত্র ধরে থানা পুলিশ তাদেকে আটক করেন।
অন্যদিকে পুতুলকে হত্যা সময় বাধাদেয় প্রকাশ মিস্ত্রি ও তার স্ত্রী দিপীকা মিস্ত্রী।
হত্যাকারি দুর্বৃত্তরা এদেরকে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আহত প্রকাশ ও তার স্ত্রী বর্তমান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। একটি মহল বলছে,পুতুল হত্যার মূল রহস্য প্রকাশ ও তার স্ত্রী ভালোই বলতে পারবে। কারণ তারা ওই রাত্রে পুতুলকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার সময় প্রত্যক্ষদর্শী।
গতকাল শনিবার হাটবাটি গ্রামে প্রকাশ মিস্ত্রির বাড়িতে বেড়াতে যায় তিলোত্তমা মন্ডল পুতুল। নিহত পুতুলের বাড়ি উপজেলা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বৃত্তিশলুয়া গ্রামে। মৃত মহেন্দ্রনাথ মন্ডলের কন্যা সে।