বটিয়াঘাটার পুতুল হত্যার তদন্ত দিয়ে গড়িমশি! ভুক্তভোগী পরিবার গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তদন্তর দাবী জানিয়েছেন।
গতকাল পতুল হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য নিহত তিলোত্তমা মন্ডল পুতুল(৪০) এর বাড়ি বৃত্তিশলুয়া গ্রামে গিয়ে যানা যায় হত্যার নানাবিধ কাহিনী।
গতকাল নিহত পুতুলের পরিবার ভিডিও এক এক সাক্ষাৎকারে নিহতর পরিবারের অভিযোগ করেন,পতুলকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা পুতুলকে হত্যা করেছে তারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। ভুক্তভোগী পতুলের পরিবারের পক্ষথেকে এমনি অভিযোগ উঠেছে।
নিহত পুতুলের ভাই মামলার বাদী রাজেন্দ্র মন্ডল বলেন, পতুল হত্যার রহস্য ও প্রকৃত হত্যার সাথে জড়িত আসামীরা রয়ে যাচ্ছে অন্তরালে। থানা পুলিশের তদন্তে দেখা দিয়েছে ধুয়াশা। আমরা চাই আমার বোনের প্রকৃত খুনিদের শাস্তি হোক।
সাংবাদিকদের বলেন,হত্যার তদন্ত নিয়ে গড়িমশি চলছে। যারা প্রকৃত হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে তারাই রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ারর বাহিরে। এবিষয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিষয়টি বলা হচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে তদন্তে কোথাও যেন গাভিলতি থাকছে। তাই নিহত পতুলের পরিবার সঠিক ন্যায়বিচারের জন্য উর্ধ্বতন গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তদন্তের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
নিহত পুতুলের কাকাত ভাই এ্যাডঃ অরবিন্দু মন্ডল, সুজন মন্ডল,ভাইপো বিভাষ মন্ডল ও পুতুলের ননদ রুমলী মন্ডল বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার হাটবাটি এলাকায় কবিগান শুনতে যায় পুতুল। ঐরাতে পুতুলের গ্রামের দুঃসম্পর্কের এক কাকাতো বোন দিপিকা তাকে মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
রাতে খাওয়া দাওয়া করে পুতুল দিপিকার বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। তখন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দিপিকা মিস্ত্রি ও তার স্বামী প্রকাশ মিস্ত্রি সহ ৪/৫ জন মিলে পুতুলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনায় পরেরদিন ১৩ ডিসেম্বর পুতুলের ভাই রাজেন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। যার নং ০৩। পরে মামলার সূত্রধরে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেন। আসামীরা এখন পযর্ন্ত জেল হাজতে রয়েছে।
নিহত পুতুলের বাড়ি উপজেলা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বৃত্তিশলুয়া গ্রামের। মৃত মহেন্দ্রনাথ মন্ডলের কন্যা তিলোত্তমা মন্ডল পুতুল(৪০)।
নৃশংস এই হত্যার বিষয় বটিয়াঘাটা অফিসার ইনচার্জ মোহম্মদ শাহ্ জালাল বলেন, মামলা অতিসত্বর চার্জশিট দেওয়া হবে। এই মামলার তদন্তে যদি অন্যকোন নতুন কুলু খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে আসামি করা হবে। এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।