লকডাউনের নবম দিনে বটিয়াঘাটায় উপজেলার বারোআড়িয়া বাজারে উৎসুক জনতার ভিড়। মানছেনা লকডাউন এর নীতিমালা। ইচ্ছা মতো চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে তাদেরকে। গত শুক্রবার বটিয়াঘাটা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বারোআড়িয়া বাজারটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনের কোন বালাই নেই সেখানে।চলছে জনতার ভিড়। বাজার কমিটির পক্ষ থেকে তেমন কোনো সন্তোষ জনক জবাব পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বলছে জনগন লকডাউনের নিয়ম কানুন কিছুই মানছে নারাজ। তারা তাদের ইচ্ছামতো হাট বাজারে এসে বাজার করছে। খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আশা শত শত জনগনকে খেয়া পারাপার হতে দেখা যায়। স্হানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারের এই লকডাউন নীতিমালা জনগণ মানছে না। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অন্যদিকে বাজারে আসা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন,আমরা খাবো কি।কেনাবেচা না করলে আমাদের সংসার চলা দায়। তাই আমরা পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে হাট বাজারে এসেছি।
অন্যদিকে উপজেলার সুন্দরমহল বাজারে ভোর ছয়টা থেকে রাত দশ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রেখে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বাজারের বাজার কমিটি সভাপতিসহ বেশ কিছু লোক প্রতিদিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন টাকা উত্তোলন করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী বলেন,বাজার কমিটির সভাপতি কাশেম গাজীর নেতৃত্বে প্রতিটি দোকান থেকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে টাকা দেওয়ার কথা বলে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, লকডাউনে দোকানপাট খোলা রাখলে বাজার কমিটিকে টাকা দিতে হবে। না দিলে দোকানপাট খোলা যাবে না। অন্যদিকে বারআড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এনামুল হক এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয় সুন্দরমহল বাজার কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে বহিরাগত এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সভাপতির সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবিষয় সুন্দরমহল এলাকার বাসিন্দা ও মেম্বর প্রার্থী এনামুল গাজী বলেন, অভিযোগটি সঠিক। বাজার কমিটির সভাপতি কাশেমের নেতৃত্বের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা আদায় চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।