অনলাইন ডেস্কঃযমুনা ফিউচার পার্কের সামনে মঙ্গলবার সকালে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহতের পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করে নগরে ওই পরিবহনের সব বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তবে ওই নির্দেশেরও পর চলছে সুপ্রভাত পরিবহনের বাস।
নির্দেশের তোয়াক্কা না করে মঙ্গলবার বিকেল ও সন্ধ্যায় সুপ্রভাত পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাসকে প্রগতী সরণি দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।সুপ্রভাত বাস বন্ধের বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, বাসটিকে বন্ধ করে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা একমত।
মঙ্গলবার সকালে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী। এরপর দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস ওই রুটে চলতে দেওয়া হবে না। এই বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। আর দেশের প্রচলিত আইনে বাসচালকের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে।’
গাজীপুর থেকে সদরঘাট পর্যন্ত চলাচল করে এই পরিবহনের বাস। প্রগতী সরণির কয়েক দোকানি বলেন, সকালে দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হলে কিছু সময় ধরে ওই সড়কে চলেনি সুপ্রভাত পরিহনের বাস। তবে দুপুর পর থেকে চলতে শুরু করে এই পরিবহনের বাস।
আবরার আহমেদ চৌধুরী মারা যাওয়ার জায়গায় একটি জাবালে নূর পরিবহনের বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা যখন মারা যায় তখনো জাবালে নূর পরিবহনের ঘাতক বাসের রুট পারমিট বাতিল ও বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে তাঁরা আবার বিক্ষোভ করবেন এবং তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।