সার্ভিস ভালো না হওয়ায় অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের মাগুরার আরপাড়ার শালিখা শাখার ম্যানেজার মিলন বিশ্বাস। সওদাগরের শাখা বন্ধ করে দিয়ে আহাদ কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিসের শাখা অফিসের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির মাগুরা আরপাড়া শালিখা শাখার সাবেক ম্যানেজার মিলন বিশ্বাস বলেন, সদাগর কুরিয়া সার্ভিসের শালিখার শাখা অফিসটি আগে ছিল শালিখা থানার পাশে। সেখান থেকে পোড়াগাছি মোড়ে আনা হয়। তবে সার্ভিস ভালো না হওয়ায় গত ১ ডিসেম্বর আমি সওদাগর কুরিয়ারের শাখা অফিস ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে সওদাগরের আরপাড়া শালিখা শাখাটি বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, আম-কাঠালের সিজনে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বুকিং হতো। দুদিনে গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা বলে দু একদিন বেশি সময় লাগতো। গ্রাহকরা আমাদেরকে কথা শোনাতো। এক পর্যায়ে শাখা ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়া আর্থিক সমস্যাও কিছুটা ছিল। সব গ্রাহক চায় তার পার্সেলটি সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছাক।
শালিখা থানার পার্শবর্তী এক ব্যবসায়ী আফতাব হোসেন বলেন, কি কারণে সওদাগরের শালিখা শাখা অফিস বন্ধ হয়েছে, সেটি আমরা বলতে পারবো না। কিছু না কিছু সমস্যা না থাকলে তো আর বন্ধ হয়নি।
আরপাড়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সুধির মন্ডল বলেন, সার্ভিস ভালো হলে তো আমাদেরও উপকার হতো।
সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিস মাগুড়া (যশোর রোড ভায়না মোড়) শাখার রাজু আহমেদ মুঠোফোনে জানান, আরপাড়া শাখাটি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের কারণ কোম্পানী বলতে পারবে, আমি এটা বলতে পারবো না। তবে ঢাকার সখিপুরসহ বেশকিছু ব্রাঞ্চ বন্ধ হয়েছে। কোণাবাড়িও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আবার খুলেছে।
সওদাগর এক্সপ্রেস লিমিটেড কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিসের সিও এমদাদ মুঠোফোনে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান কোন ব্রাঞ্চ বন্ধ করবে, কোন ব্রাঞ্চ বাড়াবে, সেটি আমার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যাপার। সার্ভিস নিয়ে গ্রাহকদের নানা অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের অভিযোগ থাকবে। লজিস্টিক কোম্পানিতে কেউ কোনদিন শতভাগ সার্ভিস দিতে পারেনি আর পারবেও না। আমরা হরতাল অবরোধের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে সার্ভিস দিচ্ছি।