বরিশালে নৌপথ সহ গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষনিক হাফ ভাড়া ৫০% হ্রাস নিশ্চিত করা সহ নিরাপদ সড়কের দাবীতে জেলা প্রশাসক দপ্তর ঘেড়াও ও বিক্ষোভ মিছিল সহ জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করার পরও তাদের দাবী পূরন করা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষনা দিয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় সহ নগরীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের প্রবেশ পথে বসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঘন্টাব্যাপি শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক চত্বরে ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে মুহু মুহু শ্লোগানে মুখরিত করে রাখে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন কর্মসূচি শেষ করে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার শিক্ষার্থীদের ব্যাড়িকেডের মুখে পড়ে।
এসময় জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের পরিচয় তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবী দাওয়ার কথা মন দিয়ে শুনে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন দাবী করলেইতো সাথে সাথে পূরন করা সম্ভব না। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে লঞ্চমালিকদের সাথে বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের দাবী পুরনের কাজ করবে। তবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবস পালন করা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অনেক কাজ রয়েছে সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জেলা প্রশাসক আরো শিক্ষার্থীদের বলেন তোমরা একদিন আমার অফিসে আসো আমি তোমাদের সকল সমস্যা শুনে সমাধানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সুজয় শুভ, রাহুল দাশ,বিজন সিকদার, আলিশা মুনতাজ সহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের হাতে তাদের দাবীর স্বারকলিপি তুলে দেন। পরে এব্যাপারে (ববি) শিক্ষার্থী আলিশা মুনতাজ গণমাধ্যমকে বলেন তারা এই মুহুর্তে আন্দোলন বন্ধ নয় অব্যাহত রাখবে দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত। জেলা প্রশাসকের নিকট বলেন বরিশালে কোন সিটি বাস নেই।
অন্যদিকে তাদের নৌপথ ও দূরপাল্লার বাসে বেশি শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয় তাই এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া পাওয়ার ন্যায্য অধিকার রয়েছে। এরপূর্বে বরিশালের বিভিন্ন সাধারন শিক্ষার্থীরা তাদের দেওয়া ২৪ ঘন্টা বেধে দেওয়া সময়সিমার মধ্যে কোন ধরনের প্রস্তাব না আসার কারনে সকাল ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউনহল চত্বরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বেড় করে। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক দপ্তরের প্রবেশ পথে বসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন সরকার নিজের রাষ্ট্রীয় যানবাহন রক্ষা করতে পারছে না। অন্যদিকে শাহজাহান খান ও মসিউর রহমান রাঙ্গাদের মালিকানা বেসরকারী বাসের মালিকরা কার ইসারাই রাতারাতি উন্নতি করছে। সরকার আজ অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এসকল বাস মালিকদের পাহারা দিয়ে রাখছে। তারা সাধারন যাত্রীদের কথা ভাবেন না।