আন্তর্জাতিক ডেস্কঃইহুদিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বের প্রতিরোধ সংগ্রামকে অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি। তিনি বলেছেন, বলপ্রয়োগ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভাষা নেই। ইরানি জনগণ অত্যন্ত সচেতনভাবেই ‘মুক্তি, স্বাধীনতা ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ নামক স্লোগান বেছে নিয়েছে।
ইরানি বার্তা সংস্থা পার্স টুডে জানায়, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশে সশস্ত্র কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
সোলাইমানির হত্যাকারী মার্কিন প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে জেনারেল হাতামি বলেছিলেন, আমরা এমন এক বিদ্বেষী ও প্রতিহিংসা পরায়ণ শত্রুর মোকাবিলা করছে যারা শক্তি ও বলপ্রয়োগ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। কেননা তাদের বলার মতো আর কোনো ভাষা নেই।
ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শহীদ সোলাইমানি ছিলেন ইসলামি বিপ্লবের শিক্ষায় দীক্ষিত একজন বিপ্লবী মহানায়ক। শত্রু পক্ষের জেনে রাখা উচিত, এ রকম বীরযোদ্ধাকে হত্যা করে তারা ইরানিদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। বরং এ দেশের জনগণ প্রতিরোধ ও সংগ্রামের দিকে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাবে।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানি নিহতের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায় গত কিছুদিন যাবত ওয়াশিংটনকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল তেহরান। অবশেষে গত ৮ জানুয়ারি ভোর রাতে ইরাকের দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরানি সেনারা।
এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।