চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিজয় দিবস হলের প্রভোস্ট মোঃ শফিকুল ইসলামসহ হল প্রশাসনের গায়ে হাত তোলার হুমকি প্রদান করেছে কয়েকজন ছাত্র এমন অভিযোগ করে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছে বিজয় দিবস হল প্রশাসন।
গত সোমবার রেজিস্ট্রার বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে লিখিত দরখাস্তে বলা হয়, উক্ত দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজয় দিবস হলে অবৈধভাবে দখলকৃত ১০২ নম্বর রুমটি দখলমুক্ত করার জন্য উক্ত রুমে যায় হল প্রশাসন। উক্ত রুমে থাকা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার সময় স্বাধীনতা দিবস হলের ছাত্র রাসুল (বাংলা বিভাগ), মিনহাজুল ইসলাম আকাশ (সিএসই বিভাগ), তাহের (সাবেক ছাত্র, গণিত বিভাগ), তারেক (সাবেক ছাত্র, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ) আরও কিছু সংখ্যক ছাত্র নিয়ে উপস্থিত প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টগণের সাথে অশোভন আচরণ, হুমকি-ধমকি ও প্রশাসনিক কাজে বাধা প্রদান করে।
লিখিত অভিযোগপত্রে আরো বলা হয় মিনহাজুল ইসলাম আকাশ, তারেক, তাহের ও রসুলসহ কয়েকজন ছাত্র হল প্রশাসনকে হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয় এবং সকলকে জামায়াত শিবির বলে উচ্চবাচ্য করে। ওই সময় গণিত বিভাগের সাবেক ছাত্র তাহের হল প্রভোস্ট মোঃ শফিকুল ইসলামকে বলেন, “অনেক বাড়ছেন, আপনি হল থেকে বের হয়ে যান, না হলে কিন্তু আমরাই আপনাকে বের করে দেব। প্রভোস্টের কি দরকার আমরাই হল চালাব”।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয় সাবেক ছাত্র তারেক হল প্রভোস্ট কে বলেন “হল থেকে বের হয়ে যান, নাহলে প্রয়োজনে গায়ে হাত তোলা হবে”। এর আগেও এই ঘটনার সাথে সংশিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কাজে বাধা প্রদানে অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি বলে অভিযোগ পত্রে জানানো হয়।
অভিযোগদানকারী শিক্ষক ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, “গত ২৫ নভেম্বর, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিজয় দিবস হলে অবস্থানরত অবৈধ ছাত্রদের পূর্বের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি (২০/১১/১৯) অনুসারে হলের ১০২ নাম্বার কক্ষ দখলমুক্ত করতে গেলে কোন রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট পরিচয়বিহীন কয়েকজন ছাত্র প্রভোস্টের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। উক্ত কক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের দারিদ্রতা, একাডেমিক কার্যক্রম এবং পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে তাদেরকে গণরুমে স্থানান্তর করে আবাসিকতা প্রদানে আশ্বাস প্রদান করি। তারা তা উপেক্ষা করে প্রভোস্টের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং দৃঢ়ভাবে কক্ষে অবস্থান করে। কক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট টিমের গায়ে হাত তোলা, এমনকি হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়।”
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম আকাশ জানান, “আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এটা সত্য তবে, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।” অভিযুক্ত তারেক নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “বিজয় দিবস হল কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে ১০২নং কক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের কক্ষ থেকে নেমে যেতে বললে আমি কক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলি। তবে, হল কর্তৃপক্ষের সাথে কোন ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। আর আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বলেন, “আমরা একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি, ভাইস চ্যান্সেলর আসলে তাকে অবহিত করব।