ক্রীড়া ডেস্কঃঅভিষেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতা বসুন্ধরা কিংস উৎসবে ভাসছে। বৃহস্পতিবার নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করে দুই ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করার পরই ঘরোয়া ফুটবলের এই নতুন পরাশক্তি উদযাপন করছে তাদের ঐতিহাসিক অর্জনের আনন্দ। তবে উদযাপন চলবে আরো।
কিভাবে নতুন দলটি তাদের সফলভাবে ঘরোয়া মৌসুম শেষ করার আনন্দ উদযাপন করবে? শুক্রবার সেই পরিকল্পনার কথা বললেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। তাদের হাতে এখনো লিগের দুটি ম্যাচ। শেষ ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে। ওই ম্যাচের পরই বড় ধরনের শিরোপা উৎসব করতে যায় স্বাধীনতা কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
‘শেষ ম্যাচে আমাদের চেষ্টা থাকবে বেশি সমর্থক স্টেডিয়ামে উপস্থিত করা। র্যালিসহ নানা আয়োজনও করতে চাই আমরা। বাফুফের সঙ্গে কথা বলবো। তারা অনুমতি দিলে আমরা শেষ ম্যাচের পর আতশবাজির ব্যবস্থা করবো’-বলেছেন ক্লাবটির শীর্ষ কর্মকর্তা।
ক্লাব সভাপতি মনে করেন, তাদের এই সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ফুটবলারদের। তাই তো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরস্কার হিসেবে গোটা দলকে ক্লাব নিয়ে যাবে ইউরোপ সফরে। ঈদের পরই দল নিয়ে সুইজারল্যান্ড বা তুরস্কের একটি দেশে চলে যাবেন কর্মকর্তারা। সেখানে ফুটবলাররা ৭ থেকে ১০ দিন শুধু আনন্দ করবেন।
বিদায়ী মৌসুমের তিনটি ট্রফির দুটি জিতেছে তারা। একটিতে রানার্সআপ। উৎসবে গা ভাসিয়ে দেয়ার পাশাপাশি তারা পরের মৌসুমের দল গোছানোর কাজও করে ফেলছে। ইতিমধ্যে ক্লাবটি শিরোপা জয়ের থিঙ্কট্যাঙ্ক স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন এবং মাঠের মধ্যমনি রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা তারকা কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের সঙ্গে আগামী মৌসুমের চুক্তিও সেরে ফেলেছে।
‘আমরা স্থানীয় ফুটবলারদের বেশিরভাই রেখে দেবো। কারণ, তারাই কষ্ট করে আমাদের দুটি ট্রফি এনে দিয়েছে। তারপরও কিছু পরিবর্তন হবে আমাদের। যেখানে যেখানে কোচের আরো ভালো খেলোয়াড়ের চাহিদা আছে, সেসব পজিশনে আমরা নতুন খেলোয়াড় আনবো। আর বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে কলিন্দ্রেস ছাড়া বাকিদের নিয়ে আমাদের আলাদা চিন্তাভাবনা আছে। কারণ, আমরা রাশিয়া ও ওই অঞ্চলের ফুটবলার খুঁজছি। অস্ট্রেলিয়া থেকেও আগামী মৌসুমে খেলোয়াড় আনতে পারি’-বলেছেন ইমরুল হাসান।
প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বসুন্ধরা কিংস আগামী এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা প্রসঙ্গে ক্লাবটির সভাপতি বলেছেন, ‘এএফসি কাপকে আমরা ক্লাব প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখবো না। এটা দেশের সম্মানের বিষয়। আমরা এএফসি কাপে ভালো করে দেশের ফুটবলের সম্মান বাড়াতে চাই।