ভারত ১০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ বাংলাদেশকে হস্তান্তর করার ফলে প্রতিবেশী দেশে আন্তঃদেশ ও আন্তঃদেশীয় উভয় যোগাযোগের ক্ষেত্রেই গতিশীলতা বাড়বে।
চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাংলাদেশের ঘাটতি পূরণের জন্য উপহার হিসেবে সোমবার (২৭ জুলাই) দশটি রেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) হস্তান্তর করবে ভারত। ভারতীয় পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’ এ খবর জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৭২ শতাংশ লোকোমোটিভের উপযোগ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। এ সংকট কাটাতে প্রথমবারের মতো গত বছর ভারত থেকে ইঞ্জিন ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।
ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারত ১০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ বাংলাদেশকে হস্তান্তর করার ফলে প্রতিবেশী দেশে আন্তঃদেশ ও আন্তঃদেশীয় উভয় যোগাযোগের ক্ষেত্রেই গতিশীলতা বাড়বে।
এই আয়োজনে সীমান্তের দুপাশে স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে দি হিন্দুর প্রতিবেদনে।
এদিকে দুই দেশের রাজধানী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্রডগেজ ইঞ্জিন হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও, ভারতীয় রেল পক্ষ বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্তে (ওপারে গেদে সীমান্ত) ইঞ্জিনগুলো হস্তান্তর করবে।
হিন্দু’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে যে ৩৩০০ এইচপি ডব্লিউডিএম৩ডি লোকো প্রদান করবে, তা ২৮ বছর বা তারও বেশি সময় টিকে থাকবে। এটি প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কেএমপিএইচ গতিতে চলবে। এতে যাত্রীর পাশাপাশি মালামালও আনায়ন করা যাবে। এ ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি মাইক্রোপ্রসেসর রয়েছে।
ভারতীয় রেল মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলাচলের পাশাপাশি আন্তঃদেশীয় যোগাযোগেও সহায়তা করবে। আর বাংলাদেশ রেলওয়ের শর্তাবলী মেনেই লোকোগুলো সংশোধন করা হয়েছে। আর আমরা ভবিষ্যতে সব ধরনের রোলিং স্টক সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে আগ্রহী।’
ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের গত বছরের মে মাস পর্যন্ত ১৭৮টি মিটার-গেজ (এমজি) লোকোমোটিভ ছিল, যার মধ্যে ১৩৯ টি তাদের ২০ বছরের কর্মক্ষমতা অতিক্রম করেছে। ৯০টি বিজি লোকোমোটিভের মধ্যে ৫৫টিও উপযোগ শেষ করেছে।