বাংলাদেশের জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়সহ বেশকিছু খাতে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানান ব্যাংকটির রিজিওনাল হাব ম্যানেজার নাসিস সুলাইমান।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে অর্থাৎ আগামী তিন বছরে বাংলাদেশের জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়সহ প্রয়োজনীয় বেশকিছু খাতে আমরা সহায়তা দেব। অন্যান্য ইসলামিক দেশের মতো আমাদের পলিসি অনুযায়ী সেটা দেওয়া হবে। এর পরিমাণ ৪-৫ বিলিয়ন হবে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাইক্লোন সেন্টার, বন্যায় অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত, প্রান্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, টুইন টাওয়ারের মতো বড় বড় বিল্ডিং করার মতো খাতে আমরা বিনিয়োগ করতে বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা জ্বালানি সহায়তা বৃদ্ধির কথা বলেছি, তারা অন্যান্য ডোনারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাবে বলেছে। আমরা আরও অনেক এডিশনাল ফান্ডের কথা বলেছি তাদের। মোটকথা ওরা আমাদের অনেক সহায়তা করছে। আরও দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা করবে সে প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আশ্বাস দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।
আবদুলায়ে সেক বলেন, সরকারের সংস্কার, বন্যার প্রতিক্রিয়া, উন্নত বায়ুর গুণমান এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বব্যাংক এই অর্থ বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের নতুন অর্থায়ন জোগাড় করতে পারে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব আপনাকে সমর্থন করতে চাই। ব্যাংকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তা করবে।
এর আগে আর্থিক খাত সংস্কারে প্রায় একশ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক। গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রায় একশ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছে সরকার। দুই কিস্তিতে ৫০ কোটি ডলার করে এই অর্থ চেয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।