বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে প্রত্যেকে তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। এদেশে উৎসবে ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই। দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি আছে ও থাকবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালীতে ঘটা সাম্প্রদায়িক ঘটনার তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। দেশে কেউ যেন ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের সুযোগ না পায়। কেউ অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না। অপরাধীদের কোন ছাড় নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। সংলাপে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহসভাপতি সুব্রত পাল, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার।
সকালে প্রতিমন্ত্রী খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়ি-ঘর পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় এবং ভূক্তভোগী পরিবারের মাঝে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ করেন।