বাংলাদেশ কংক্রিট পেভার এন্ড ব্লক ম্যানুফ্যাকচার এসােসিয়েশন গভীর উদবেগের সাথে জানাচ্ছি যে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর ড্রেন প্রকল্পে- যেখানে ড্রেনের পাশে কংক্রিটের কার্ভষ্টোন ও পেভমেন্ট টাইলস ব্যবহার সিডিউলভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও উক্ত ড্রেনের উপর হাতে তৈরি রং প্লাস্টার যাহা ষ্ট্যাম্পড কংক্রিট নামে পরিচিত করার উদ্দ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাহা খুবই সস্তা এবং খনস্থায়ী প্রযুক্তি। যেখানে ফুটপাতে প্রতিদিন হাজার হাজার লােকের জুতা সেন্ডেলের ঘর্ষণ লাগায় উহা অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষয় হইয়া যাইবে। উল্লেখ্য যে, এই পদ্ধতি সাধারণত বাগান বা লনে ব্যবহার করা হয় যেখানে মানুষের হাটা চলা কম হয়।
উল্লেখ্য বর্ষার দিনে উক্ত সিস্টেমে স্লিপ করে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যেহেতু উক্ত ঢালাইয়ে ভাইব্রেশন বা পেভ করা সম্ভব নয় বিধায় উক্ত কংক্রিট পেভমেন্ট টাইলস এর মত মজবুত হতে পারে না। দ্বিতীয়ত পুরাতন কংক্রিটের উপর দুই ইঞ্চি ঢালাই দিলে এটা কখনও বন্ডিং হবে না যার কারণে কিছুদিন পর উক্ত ঢালাই ফেটে যাবে। উল্লেখ বাংলাদেশের কোন সিটি কর্পোরেশন যেমন- ঢাকা, চিটাগাং, রাজশাহী, বরিশাল সহ কোথাও উহার ব্যবহার নাই।
প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন ফুটপাত ও ড্রেনের সাইডে কংক্রিটের মেশিন মেড কার্ভস্টোন ও পেডমেন্ট টাইলস ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। খুলনার হাদিস পার্কে প্রায় ১০ বৎসর পূর্বে লাগানাে পেভমেন্ট টাইলস যাহা খুলনার তৈরি এখনও খুব ভালাে আছে। এছাড়া খুলনা রেলষ্টেশন এর টাইলসগুলিও আপনারা দেখুন।
কিন্তু বর্তমানে কেডিএ এভিনিউ এর ফুটপাত নিয়ে বিরুপ ধারণার কারণ কি? এখানে শুধু টাইলস এর উপর দায় চাপানাে যাবে না। আপনারা জানেন ২৫ মিলি ১ ফুট টাইলস এর মানসম্মত টাইলস তৈরি করতে খরচ হয় ৪০ টাকা এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন সিডিউল রেট মতে একফুট টাইলস ধরা আছে স্থাপন খরচ সহ প্রায় ১০০ টাকা। টাইলস লাগাতে সিমেন্ট বালি সহ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। ভ্যাট আইটি ২০ টাকা হলে টাইলস বাবদ থাকে ৫০ টাকা। কিন্তু আপনারা জেনে অবাক হবেন উক্ত টাইলস এর জন্য আমরা পেয়েছি মাত্র ২৫ টাকা। এবার আপনারা বলুন টাইলস এর কোয়ালিটির জন্য কে দায়ী? কন্টাক্টর নাকি আমরা।
এরপর টাইলসগুলি যেভাবে লাগানাে হয়েছে সেখানেও আছে অনেক ভুল যেমন- (১) সাইডে কার্ভষ্টোন না থাকায় গাড়ী কিংবা রিক্সা সাইডে ধাক্কা দিলে স্বাভাবিক ভাবেই টাইলসের উপর ধাক্কা লাগে।
(২) টাইলস এর কর্ণার সাইডে কোন প্রটেকশন রাখা হয় নাই বিধায় টাইলসের কোনাগুলির উপর চাপ পড়ায় টাইলস এর ক্ষতি হচ্ছে।
(৩) টাইলস লাগানাের সময় পর্যন্ত সিমেন্ট বালি সঠিকভাবে ব্যবহার হয় নাই এবং টাইলস এর নিচে সিমেন্ট গ্রাউড সবজায়গায় ব্যবহার না করায় টাইলসগুলাে উঠে যাচ্ছে যার কারণে টাইলসগুলাে ভেঙ্গে যাচ্ছে।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই সারা বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনগুলাে যেভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে কার্ভষ্টোন, পেভমেন্ট ব্লক, ইউনি ব্লক, সসার ড্রেন ব্যবহার হচ্ছে সেখানে খুলনাকে আধুনিক শহর করার জন্য উক্ত প্রডাক্ট ব্যবহার করার জন্য যারা কনসালট্যান্সি করছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং মেয়র মহােদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মেয়র মহােদয় যদি আমাদেরকে প্রাইস এবং কোয়ালিটির ব্যাপারে সরাসরি মনিটরিং করেন প্রয়ােজনে আমাদের ফ্যাক্টরী ভিজিট করেন আমরা আনন্দিত এবং উৎসাহিত হবাে। বাংলাদেশ কংক্রিট পেভার এন্ড ব্লক ম্যানুফ্যাকচার এসোসিয়েশন খুলনার উদ্যোগে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, সংগঠনের সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শামীম আকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদ হাসান প্রমূখ।-প্রেস রিলিজ