প্রতিবেদক
খালেদ মাহমুদ কদিন ধরেই বলছিলেন, তিনি দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ দলের কোচ হতে চান, স্বল্প মেয়াদে নয়। তিনি অবশ্য বাংলাদেশের কোচ হতে আবেদনই করেননি।
দুপুরে বিসিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় খালেদ মাহমুদের কাছে জিজ্ঞেস করা হলো কোচ হতে আবেদন করছেন? মাহমুদ একটু হতাশ কণ্ঠেই জানালেন, তিনি আবেদন করেননি। কদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে আসছেন, হলে তিনি বাংলাদেশ দলের কোচ হতে চান লম্বা সময়ের জন্যই। কিন্তু এবার তিনি আবেদন করলেন না কেন?
‘পজিশন: হেড কোচ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম’ —স্টিভ রোডস বিদায় নেওয়ার পর কদিন আগে বিসিবি পত্রিকায় এভাবেই একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, প্রধান কোচের পদে আবেদন করার শেষ তারিখ ১৮ জুলাই। আজ শেষ হয়েছে আবেদনের শেষ তারিখ। নির্ধারিত তারিখে মাহমুদ কেন আবেদন করেননি, সেটির ব্যাখ্যায় দুপুরে বললেন, ‘খেলোয়াড়ি জীবনে আমি সব সময়ই অধিনায়কের নির্দেশে মেনেছি। এখনো মানি। অধিনায়কের দিক থেকে সাড়া পাইনি বলে আর আবেদন করিনি।’
খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক অধিনায়কের অধীনেই খেলেছেন। এখন মাহমুদের ‘অধিনায়ক’ হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। নাজমুলের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাননি বলেই প্রধান কোচ হতে আবেদন করেননি তিনি। মাহমুদের কথায় বোঝা যাচ্ছে এবারও বিসিবি বিদেশি কোচের ওপরই আস্থা রাখতে চায়। মাহমুদকে দিয়ে শুধু আপৎকালীন কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। এ কারণেই তিনি অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন।
মাহমুদ আবেদন করেননি, মাশরাফি-সাকিবদের কোচ হতে কে কে আগ্রহী সেটি এখনো জানা যায়নি। যদিও অনেক বিদেশি কোচের কথাই শোনা যাচ্ছে। বিসিবির দায়িত্বশীলেরা অবশ্য নামগুলো গুঞ্জন হিসেবেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। এটা ঠিক, বিসিবি এবারও চেষ্টা করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছেড়ে দেওয়া টম মুডিকে পেতে। বিসিবির একজন পরিচালক জানালেন, আগের বারের মতো এবারও এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ ‘না’ করে দিয়েছেন।