বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহ্ফুজুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের অত্যাচার নির্যাতন যত বাড়বে ইসলামী আন্দোলনও তত বেগবান হবে। সরকারের ওপর জনগণের অনাস্থার কারণে জঘন্য হত্যাকান্ডে জনগণ বিম্মিত ও সোচ্চার হলেও তারা ন্যায় বিচারের আশা করতে পারছেনা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এখনও একটি শিশু অসহায়। জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন, গুম, হত্যাকান্ড এবং অবরুদ্ধ বাকস্বাধীনতা বাংলাদেশের বর্তমান সমাজচিত্র। কিন্তু এ কথা প্রনিধান যোগ্য যে কোন অত্যাচারী শাসক চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তিনি বলেন, দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ আজ অবহেলিত। সংস্কৃতির নামে বিদেশি অপসংস্কৃতিকে জোরপূর্বক জাতির ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। জনগণের প্রত্যাশা ছিল তারা তাদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পাবে, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার ভোটাধিকার পাবে, ইজ্জত ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার গ্যারান্টি পাবে, সভা-সমাবেশ, চলাফেরা ও কথা বলার অধিকার পাবে। আজ জনগণের সকল চাওয়া পাওয়া বাকশাল প্রতিষ্ঠাকারী স্বৈরাচার সরকারের খাচায় বন্দি। তিনি বলেন, তারই প্রমান স্বরূপ আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আজ সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। কিন্তু এ স্বৈরাচার সরকার যানেনা যে, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার কোন স্বৈরাচারকেই ভয় করে না। তিনি বর্তমান জালিম সরকারের হাত থেকে দেশ ও ইসলামী আন্দোলন রক্ষা এবং নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে সকল নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে আসুন সুখী সমৃদ্ধশালী ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাই। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী শাখার উদ্যোগে বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে আজ বুধবার নগরীর এক কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারী এ্যাডঃ শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারী এ্যাডঃ মুহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী প্রমূখ।