এম.পলাশ শরীফ :: সুপারি ফলনে ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেলো কৃষক রশিদ শেখ(৫২) পরিবারের। ১ বিঘা জমিতে নিজ বাগানে ৫শ’ সুপারি গাছের ফলন থেকে এ বছরে বিক্রি করছেন ৫ লাখ টাকা। এ বারে ফলন কম হলেও বাজার দর রয়েছে দ্বিগুন। ভাগ্য বদলে গেলো রশিদের।
সরেজমিনে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কামলা গ্রাম। সফল এ সুপারি চাষি রশিদ শেখ জানান, পৈত্তিক জমি রয়েছে ১ বিঘা। তার মধ্যে বসতবাড়ি বাকি সম্পূন্ন জমিতে সুপারি চাষের বাগান। মাঠে নিজেদের কোন জমি নেই, অপরের জমি বর্গা রেখে মাছ ও ধান চাষ করছেন। তবে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সুপারি চাষাবাদ। বৃদ্ধ পিতা-মাতা, স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ ৬ সদস্য’র পরিবার। নিজের আয়ের ওপর থেকে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া করানো হয়।
প্রতিবছর তার এ সুপারি বাগানে ফলন যে অনুপাতে হয় এ বছর হয়েছে অর্ধেক। তার পরেও তিনি অনেক খুঁশি, হতাশ হয়নি। বাজার দর রয়েছে দ্বিগুন। গত বছরে যে সুপারি কুরি বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা এ বছরে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। এ বছরে ২ হাজারেরও বেশী সুপারি বিক্রি করছেন সে। উপার্যন করেছেন ৫ লাখ টাকা। তিনি একজন সফল চাষি হিসেবে সুপারি বাগানে চাষাবাদের জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান।
এ দিকে খোজ নিয়ে জানাযায়, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে এ বছরে বেশী সুপারি ফলন হয়েছে। চিংড়াখালী, রামচন্দ্রপুর, বনগ্রাম, হোগলাপাশা ও খাউলিয়া ইউনিয়নে। ইতোমধ্যে এ সব ইউনিয়নে ছোট-বড় বিভিন্ন হাট বাজারে সুপারি বিক্রি জমে উঠেছে। বিশেষ করে রংপুর, গাইবান্ধা, জেলা থেকে এসে আড়ৎদাররা সুপারি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন ট্রাকযোগে। বাজার দর ভালো পাওয়ায় তারা কেনায় ঝুঁকছেন। চাষিরাও পাচ্ছেন চরা মূল্যে।
এ সর্ম্পকে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ সিফাত আল মারুফ বলেন, এ উপজেলায় সাড়ে ৬শ’ হেক্টর জমিতে এ বছরে সুপারি ফলন হয়েছে। অন্যসব বছরের চেয়ে ফলন একটু কম হলেও ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা। দাম বৃদ্ধি হওয়ায় চাষিরা পরবর্তীতে সুপারি চাষাবাদে আগ্রহ বাড়াবে বলে তিনি মনে করেন।