সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীতে নির্মানাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন | চ্যানেল খুলনা

চরম উৎকণ্ঠায় এলাকাবাসী, নদী শাসনের দাবি

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীতে নির্মানাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীর সিডরে বিধ্বস্ত নির্মাণাধীন ভেড়ীবাঁধে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত শনিবার রাত ৮টায় বাঁধের গাবতলা অংশের আশার আলো মসজিদের সামনে থেকে প্রায় চারশ’ মিটার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ওই রাতে বাঁধে মাটি ফেলে কিছুটা সামল দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. আমিরুল আলম মিলন গতকাল রবিবার দুপুরে নির্মানাধীন বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী তার কাছে নদী শাসন করে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। এ সময় তিনি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সাথে মুটোফোনে কথা বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্থ করেন। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলে তিনি জানান।

পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএমদাদুল হক, শরণখোলা আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোব্ধা সাইফুল ইসলাম খোকন, আওয়ামীলীগ নেতা আজমল হোসেন মুক্তা, আ. হক হায়দার, চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ শরণখোলা ইউপি চেয়াম্যান আসাদুজ্জামান মিলন প্রমুখ।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডরে এই ভেড়ীবাঁধ ভেঙেই সাউথখালীতে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৬ সাল থেকে চারশ’ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে টেকসই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজের মেয়াদ দুইবার শেষ হলেও সংশ্লিষ্ট ভাঙন কবলিত স্থানীয়রা জানান ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ টেকসই ভাবে নির্মাণ না করায় নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই শুরু হয় ভাঙ্গন । তিনি জানান,ভাঙন কবলিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ টেকসই ভাবে নির্মাণ না করায় নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই শুরু হয় ভাঙ্গন । উপকূল রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের (সিইআরপি) ধীরগতিতে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। কিন্তু প্রকল্পের কর্মকর্তারা প্রতিবছর সংস্কার কাজের নামে কোটি কোটি হাতিয়ে নিচ্ছেন তবুও তারা গুরুত্বপূর্ন এ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ টেকসই ভাবে নির্মাণ করছে না এমনটাই অভিযোগ করে বলেন তারা । । বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নির্মাণ না করে নিজেদের পকেটের স্বার্থে তারা কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকার কাজ আগে করেন।

সুত্র মতে,প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মৌসুম শুরু হলেই সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত শরণখোলা উপজেলার মানুষের মাঝে নদী ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করে । এ অঞ্চলের মানুষের আতঙ্ক দুর করতেই সিডর আর আইলা বিধ্বস্ত জনপদের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে উপকূল রক্ষা বাঁধ (সিইআরপি) প্রকল্প গ্রহন করে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় । উপকূল রক্ষা বাঁধ (সিইআরপি) প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় নদ-নদীর ভাঙনপ্রবণ অঞ্চল চিহ্নত করে । চিহিৃত ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প শুরু করে । প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার কাজ চলছে ধীরগতিতে । ২০১৩ সালে শুরু হওয়া উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি ২০২০ সালে । কিন্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় আবার সময় বৃদ্ধি পেলেও ৩৫/১ পোল্ডার এলাকার নদী শাসন করে কাজ না করার কারণে শরণখোলা উপজেলার বগী ও গাবতলা গ্রামের সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত । নির্মানাধীণ বেড়িবাঁধে ভাঙন অব্যাহত থাকায় বগী ও গাবতলা এলাকাবাসীর মধ্যে সব সময় বিরাজ করে আতংক । যার ফলে প্রতিবছর এই এলাকা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ভিটেমাটি হারা হন এলাকাবাসী ।  নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায়  আর্থিককষ্টে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই তাদের দিন যাপন করতে হয় আতংকে ।

এভাবে এলাকাবাসীর ঘর-বাড়ি, গাছ-পালাসহ শত শত একর জমি ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনমতে রিংবাঁধ দিয়ে ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ওই অংশে এখন নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করা হলে তা আবারো এই এলাকা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ।

এ ব্যাপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদ-উজ-জামান খান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ওই জায়গায় ৩১শ’ মিটার ব্লক ডাম্পিং করে নদী শাসনের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশাকরি অচিরেই কাজ শুরু করা যাবে।
সিইআরপি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে কাজ শুরু করা হলে ২০১৮ সালে বগী থেকে গাবতলা এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। যার কারনে বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অধিগ্রহণ শেষ হলে বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, রাতে বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এরপর ওই রাতেই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করি। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সারা রাত মাটি ফেলে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরেকটি রিংবাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করেছেন।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের ওপর ডিম নিক্ষেপ

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

কালীগঞ্জে ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে যুবক আটক

পাটের ব্যাগ পুনরায় সর্বত্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছি : সাখাওয়াত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।