বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার উপকূলীয় এলাকার গুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে বৃষ্টির সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাতাসের তীব্রতা। সেই সাথে জেলার বলেশ্বর, পানগুছি, পশুর ও ভৈরবসহ নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক এর ৫ থেকে ৭ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ার বাগেরহাট সদর উপজেলাসহ জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপাল উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে জেলার শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারের পূর্বপাশে বলেশ্বর নদী সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের স্থান থেকে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকলে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি দিয়ে পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্কাভেটর দিয়ে ভাঙনের স্থানে মাটি সেটি মেরামত করা হয়। এছাড়া মূল বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বলেশ্বর নদী সংলগ্ন খুড়িয়াখালী গ্রামে রিং বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) মাধ্যমে শরণখোলার ৩৫/১ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটারে টেকসই বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এই পেল্ডারের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং সিডরের প্রবেশদার বগী ও দক্ষিণ-সাউথখালীর এ অংশে কোনো কাজ হয়নি। একারণে গোটা সাউথখালী এখন অরক্ষিত। এর মধ্যে বগী ও গাবতলা গ্রাম সংলগ্ন বাঁধের খুব খারাপ অবস্থা। বলেশ্বর নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যদি আঘাত হানে তাহলে ইউনিয়নটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান বলেন, সময়ের সাথে সাথে জেলার নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল পানি ঢুকছে। এর মধ্যে শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি প্রায় সাত ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বগী ও গাবতলা এলাকার বেড়িবাঁধের দিকে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে ওই এলাকায়ও তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করা হবে।