চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বাগেরহাট বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে ভুক্তভোগীর ফোন পেয়ে গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার একটি টিম এ অভিযান চালায়। এ সময় মিঠু মিয়া নামের এক দালালকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মিঠুকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ। এছাড়া সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অপরাধে বিআরটিএ জেলা কার্যালয়ের সিল মেকানিক মোঃ মজিবর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ তানভীর আহমেদ। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিঠু মিয়া ফরিদপুর জেলার টেবাখোলা বিড়ি ফ্যাক্টরি এলাকার মোঃ তারা মিয়ার ছেলে।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসনের নেতৃত্বে বিআরটিএ অফিসে অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পায়। অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদুকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল, খন্দকার কামরুজ্জামান ও উপ-সহকারী পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসন বলেন, হটলাইনে এক ভুক্তভুগীর অভিযোগ পেয়ে বাগেরহাটের বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনার জন্য আসি। আমরা বাগেরহাটে পৌঁছে সেবা গ্রহিতা সেজে মিঠু মিয়াকে ফোন করি। পরে মিঠু আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে রাজি হলে মিঠু অফিসের সামনে আসে টাকা নিতে। মিঠু শুধু আজ নয় দীর্ঘদিন ধরে এই অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বিভিন্ন সেবাগ্রহিতাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা মিঠুকে আটক করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ওই কার্যালয়ের সিল মেকানিক মোঃ মুজিবুর রহমান ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়। আমাদের সম্মুখে মুজিবুর রহমান ৩ জনকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের অপরাধে বিআরটিএ বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ তানভীর আহমেদ মোঃ মুজিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এছাড়া বিআরটিএ কার্যালয়ের মধ্যে সেবাগ্রহিতা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ বন্ধ, কার্যালয়ের সামনে থেকে মিঠুর দোকান অপসারণ এবং কার্যালয়ের সামনে সিটিজেন চার্টার টানানোর সুপারিশ করেছে দুদক।